বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সাব এডিটররা একেকটি পত্রিকার নিউজ গেটকিপারের দায়িত্ব পালন করেন। একটি সংবাদকে সুন্দরভাবে সম্পাদনা করে পাঠকের কাছে পৌঁছানোর কাজটি তারা করেন। পর্দার আড়ালে থেকে তারা কত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন, তা আমরা জানি না।শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল-ডিএসইসি আয়োজিত মেধা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকার বিভিন্ন পত্রিকা, সংবাদ সংস্থা, টেলিভিশন ও রেডিওতে কর্মরত সাব এডিটরসদের সংগঠন ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল-ডিএসইসির সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে ৩০ জনকে মেধা বৃত্তি দেয়া হয়েছে।ডিএসইসি সভাপতি জাকির হোসেন ইমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির অনিক।
সাইফুল আলম বলেন, আজকে যারা মেধা বৃত্তি পেয়েছে, তাদের স্বীকৃতি জীবদ্দশায় দিচ্ছে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল। আমাদের একটা অপসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে মরণোত্তর পুরস্কার দেয়ার মধ্য দিয়ে। আমরা যেন সেটিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম। যে পুরস্কার জাতীয় পর্যায়ে অথবা সাংগঠনিক পর্যায়ে দেয়া হয়ে থাকে।তিনি বলেন, আমার মনে প্রশ্ন জাগে, মরে গেলে সেই পুরস্কার, মেধা কিংবা কাজের স্বীকৃতি দিয়ে কতটা লাভ? তার চেয়ে যদি একটি শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়, যদি একজন বিজ্ঞানী বড় কিছু করে, যদি একজন লেখক এমন একটি গ্রন্থ রচনা করে কিংবা একজন রাজনীতিবিদকে যদি আমরা জীবিত অবস্থায় স্বীকৃতি দিতে পারি- তা দেশ ও জাতির উপকারে আসবে।
সম্পাদক বলেন, জীবিত অবস্থায় স্বীকৃতি দিলে যে কাজটি তিনি করেছেন আমার বিশ্বাস তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করার অনুপ্রেরণা পেতেন, উৎসাহ পেতেন এবং সেটি আমাদের দেশ, মাটি ও মানুষকে অনেক অনেক বেশি কিছু দিতে পারতো। হয়তো এমন একটা সময় আসবে, যখন সবগুলোই হয়তো হবে। কারণ আমরা তো পরাজয় মানা জাতি নই।তিনি বলেন, আমরা আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে সাড়ে সাত কোটি মানুষ একটি দেশ স্বাধীন করে ফেলেছে। এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা সারা পৃথিবীর কাছে। পুরো বিশ্ব এখন জানে, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো একটা সেতু করতে পারছি। এত কিছুই যদি করতে পারছি তাহলে, নিশ্চয়ই আমরা পরাভূত হবো না।
মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আজকে যারা বৃত্তি পেয়েছে তাদেরকে আমার অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন জানাই। কারণ আমি কখন বৃত্তি পাইনি, তোমরা বৃত্তি পেয়েছ। এটি তোমাদের পড়াশোনার জন্য আমি মনে করি অনেক বড় অনুপ্রেরণা জোগাবে।অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জেএসসি, এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০ জনকে মেধাবৃত্তি দেয়া হয়। তাদের মধ্যে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ /এমএম