Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: একুশ মানে এগিয়ে চলা, একুশ মানে মাথা না নোয়ানো- এই সত্যকে আঁকড়ে ধরেই মানুষের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে দৈনিক যুগান্তর। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে যুগান্তর পিছপা হয় না। কালোকে কালো, আর সাদাকে সাদা বলতে যুগান্তর বদ্ধপরিকর। আর সেই কথাই ধ্বনিত হলো যুগান্তরের ২১তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। কেক কেটে পথচলার আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি সত্যের পক্ষে থাকার দৃপ্ত শপথ উচ্চারিত হয়েছে অনুষ্ঠানে।

শনিবার যুগান্তর কার্যালয়ে জন্মদিনের আয়োজনে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের কাজ করতে চাই। অত্যাচার, জুলুম, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা দূর করে সমাজকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাই। একটি সুন্দর ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে সমাজ পরিচালিত হোক- এটাই আমাদের চাওয়া। আগামীর জন্য সেই সুন্দর সমাজ আমরা রেখে যেতে চাই।

তিনি বলেন, যুগান্তর সরকারের বিরুদ্ধে নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। জনগণের কল্যাণে নেয়া সব কাজকে আমরা সমর্থন করি। সরকার বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো চলমান আছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের মানুষ লাভবান হবে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সত্য উদ্ঘাটনে পিছপা হবেন না। দুর্নীতি, অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার নেপথ্য কারণ বের করে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা আপনারা পাবেন। তবে রিপোর্ট যেন আর্টিফিশিয়াল বা বানানো না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জন্মদিনের এই আনন্দ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের প্রকাশক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) এসএম আবদুল ওয়াদুদ, পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম, পরিচালক জাকির হোসেন, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তাসম্পাদক ফাহিম আহমেদ, যুগান্তরের উপ-সম্পাদক আহমেদ দীপু ও এহসানুল হক, নগর সম্পাদক বিএম জাহাঙ্গীর, ফিচার সম্পাদক রফিকুল হক দাদুভাই, প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) আবুল খায়ের চৌধুরীসহ সাংবাদিক ও কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে নুরুল ইসলাম আরও বলেন, মিডিয়া আছে বলেই সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামতে পারে, কথা বলতে পারে, স্কুল-কলেজে বাচ্চাদের নিয়ে যেতে পারে, হাটে-বাজারে যেতে পারে। মিডিয়া যদি ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়- আমি মনে করি, কেউ বের হতে পারবেন না। এরকম একটা সমাজে আমরা বসবাস করি। তাই আমাদের বোঝা উচিত, মিডিয়ার করণীয় কি। একটা অপরাধের ঘটনা ঘটে গেল, সেটা যদি মিডিয়া সাধারণ মানুষকে না জানাতে পারে সেই মিডিয়া থাকা উচিত না।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরাও কিন্তু সমাজের সেবা করছেন। তারা একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সমাজের সেবা করছেন। আর সেই প্ল্যাটফর্ম হলো মিডিয়া।

সালমা ইসলাম এমপি বলেন, বিশটি বছর পার করে একুশে পা দিয়েছি আমরা। সবাইকে নিয়ে আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাব। সত্যের সন্ধানে সচেষ্ট থাকব আমরা। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলব। সত্য প্রকাশে আমাদেরকে কেউ দমাতে পারবে না। আমরা সবাই যুগান্তর পরিবারের। মনে রাখতে হবে- যুগান্তরের এগিয়ে যাওয়া মানেই আমাদের এগিয়ে যাওয়া।

শামীম ইসলাম বলেন, আমরা একসঙ্গে ২১টি বছর পার করেছি। এভাবেই যেন যুগান্তরের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে।

সাইফুল আলম বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যুগান্তর আজকের এ অবস্থানে এসেছে। এ জন্য অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে, সংগ্রাম করতে হয়েছে। অনেক ঝড়-ঝাপটা যুগান্তরের ওপর দিয়ে গেছে। আর সবকিছুই ঢাল হিসেবে সামাল দিয়েছেন আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। তিনি আমাদের সাহস জুগিয়েছেন, শক্তি জুগিয়েছেন। আজ যুগান্তর বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কাগজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনেক কাগজ হয়তো মানুষ পড়ে কিন্তু পাঠকরা আমাদের বলেন, যুগান্তর না পড়লে যেন দিনটাই শুরু হয় না। যুগান্তরের মতো শক্তিশালী গণমাধ্যমের ২১ বছরে পদার্পণ একটি মাইলফলক।

রফিকুল হক দাদুভাই বলেন, যুগান্তর তার অবস্থান থেকে এতটুকু বিচ্যুত হয়নি। নানা দিক থেকে অনেক কাগজের থেকে আমরা এগিয়ে। কর্তৃপক্ষের অকুণ্ঠ সমর্থনও এই এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ফাহিম আহমেদ বলেন, যুগান্তর এক আবেগ ও ভালোবাসার নাম। যুগান্তরের প্রতি ভালোবাসা আছে থাকবে। সাহসী সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখার জন্য যুগান্তরকে ধন্যবাদ।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ /এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ