বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: ‘একুশ মানে এগিয়ে চলা’ এই স্লোগানটি সামনে রেখে ২১ বছরে ‘দৈনিক যুগান্তর’। এ দীর্ঘচলার পথে সঙ্গী হয়েছেন দেশ-বিদেশের নারী রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, মানবাধিকার কর্মী, সমাজকর্মী, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকর্মী, সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, ফ্যাশন ডিজাইনার, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী, গার্মেন্টকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। দৈনিক যুগান্তরের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা ‘যুগান্তর’ পরিবারকে।
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ‘যুগান্তর’ : মেহের আফরোজ চুমকী
‘যুগান্তর’ ২০ বছর পেরিয়ে ২১ বছরে পদাপর্ণ করবে। সত্য, নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে ‘যুগান্তর’ পাঠকমহলে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় নিঃসন্দেহে পত্রিকা জগতে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ‘যুগান্তর’। প্রতিদিন ঘটে যাওয়া ঘটনার সংবাদ জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি সামাজিক বিষয়গুলো তুলে স্বমহিমায় নিজের জায়গা ধরে রেখেছে। পত্রিকার জনপ্রিয়তা ধরে রাখার এটাও একটা বড় দিক। আগামীতেও সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে ‘যুগান্তর’ মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্রের হিতকর এবং সত্য ঘটনাকেই প্রাধান্য দেবে।
এ বছর সারা দেশে মুজিববর্ষ পালিত হবে। যুগান্তরের কাছে প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধুর কথা তুলে ধরবে। বর্তমানে সংবাদপত্রের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে ‘যুগান্তর’ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দেবে। এ প্রত্যাশা রইল। ‘যুগান্তরে’র ২১ বছর পূর্তিতে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। সভাপতি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি
‘যুগান্তর’ মতপ্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে কাজ করছে : অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল
২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘যুগান্তর’কে শুভেচ্ছা। আশা করি ভবিষ্যতেও স্বচ্ছ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ‘যুগান্তর’ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। গণমাধ্যম জনগণের মতামত প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আমার প্রত্যাশা সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে ‘যুগান্তর’ এ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে। সঠিক সংবাদ প্রকাশে প্রাধান্য দিবে। নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনই হোক ‘যুগান্তরে’র আগামী পথচলা। চলমান ঘটনাকে অতিরঞ্জিত না করে সঠিক তথ্য ও চিত্রের মাধ্যমে সংবাদ উপস্থাপন করে একুশের দীপ্ত চেতনায় এগিয়ে যাক ‘যুগান্তর’।
সাবেক উপদেষ্টা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার
নারীর অধিকার নিয়ে ‘যুগান্তর’ আরও এগিয়ে যাবে : রাশেদা কে চৌধুরী
‘যুগান্তরে’র ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংবাদসংশ্লিষ্ট সব কর্মী, বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা পর্ষদকে শুভেচ্ছা। ২০ বছর পার করেছে ‘যুগান্তর’। দুর্বার তারুণ্য। দুর্বার তারুণ্যের সময় ‘যুগান্তর’ জনমানুষের কথা তুলে আনতে চেষ্টা করেছে। একদিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, বিনোদন, শিক্ষা সব কিছুকে গুরুত্বসহকারে দেখেছে। আমি শিক্ষা নিয়ে কাজ করি। শিক্ষা নিয়ে যুগান্তকারী কিছু রিপোর্ট ‘যুগান্তর’ ছেপেছে। আমি নিয়মিত ‘যুগান্তরে’র একজন পাঠক। নারীর অধিকার, শিক্ষা মানবাধিকার, বিশেষ করে নারীর অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টা তুলে আনে।
বিনোদন একদিকে তথ্য দেয়, অন্যদিকে পাঠকের মনে রসদ জোগায়। একটি বিষয় না বললেই নয়, ২০ বছরে দেশ-বিদেশের অনেক তথ্য পরিবেশন করেছে। অনেক পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশের। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এমন একটি পত্রিকা ধরে রাখতে হলে অনেক বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হয়। ‘যুগান্তর’ এ গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে প্রতিনিয়ত।
প্রত্যাশার কথা যদি বলি, ‘যুগান্তরে’র কাছে স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশা থাকবে। তৃণমূল জনগোষ্ঠীর কথা নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার। কারণ পত্রিকা মাধ্যম ছাড়া তৃণমূল জনগোষ্ঠীর বার্তা পৌঁছানো সম্ভব নয়। শিক্ষা, ক্রীড়া, নারীর অধিকার নিয়ে ‘যুগান্তর’ আরও এগিয়ে যাবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করবে নীতিনির্ধারকেরা। আমাদের দেশে মাঝে মাঝে যে ধরনের নির্যাতন হয়, সংকট তৈরি হয় তা নীতিনির্ধারকদের সামনে এমনভাবে তুলে আনবে যা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সহায়ক হবে। তনু হত্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরারের ঘটনাও মানুষ ভুলতে বসেছে। এগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। যাতে অপরাধী শাস্তি পায়। ভিকটিমের ন্যায়বিচার পেতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে ‘যুগান্তর’। এ প্রত্যাশা রইল।
সাবেক উপদেষ্টা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার
দেশ ও সমাজ গড়ার পথটি প্রশস্ত হয় : রোকেয়া কবীর
‘দৈনিক যুগান্তর’ সাফল্যের সঙ্গে দুই দশক অতিক্রম করে ২১তম বর্ষে পদার্পণ করায় আন্তরিক অভিনন্দন। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ সাধন এবং নারী, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যা জনগোষ্ঠীর অধিকারের স্বপক্ষে ‘যুগান্তর’ বরাবরই মনোযোগী। আগামী দিনে পত্রিকাটি এ ক্ষেত্রে আরও জোরাল ভূমিকা রাখবে সে আশা করি। বিশেষ করে লিঙ্গীয়, ধর্মীয় ও জাতিগতসহ সব ধরনের আধিপত্যবাদ বিরোধী সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়ে কেবল উপরিতলের ফেনা নয়, বরং ভেতরকার কারণগুলো খুঁজে বের করায় পরিবর্তন আকাক্সক্ষী মানুষকে ‘যুগান্তর’ সহযোগিতা করতে পারে। যাতে সম্প্রীতি ও সমতাপূর্ণ একটি দেশ ও সমাজ গড়ার পথটি প্রশস্ত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও নারীনেত্রী, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে : সেলিমা আহমদ
সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সংবাদপত্র পক্ষপাতিত্ব করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে ‘যুগান্তর’ দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে গঠনমূলক, সত্য, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে। এটাই প্রত্যাশা করি। ‘যুগান্তর’-এর ২০ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা রইল।
জাতীয় সংসদ সদস্য, কুমিল্লা-২, সভাপতি, ওমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ
মগ্ন চেতনায় দাউদাউ জ্বলুক ‘যুগান্তরে’র সব বিভাগের আলো : সেলিনা হোসেন
২০ বছর অতিক্রম করে ২১ এ পা রাখল ‘যুগান্তর’। অসাম্প্রদায়িক মানবিকবোধে ঋদ্ধ ‘যুগান্তর’-এর সবাইকে অভিনন্দন জানাই, যারা এ পত্রিকা প্রকাশে যুক্ত আছেন। নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকের তৃষ্ণা মেটায়।
শুধু বয়সের একুশ নয়, আমাদের ঐতিহ্যের অমর একুশের বিশাল চেতনায় ঋদ্ধ থাকবে যুগান্তর। এ প্রত্যাশা সবার। পত্রিকার সবগুলো বিভাগ নানামুখী চেতনার দরজা খুলে যেভাবে পাঠকের সামনে আসে, এর বিস্তার ঘটাবে। তবে প্রত্যাশা বেশি থাকবে আমাদের। একুশের যৌবন অসিত বোধের যৌবন- কাঠখড় পুড়িয়ে মগ্ন চেতনায় দাউদাউ জ্বলুক ‘যুগান্তরে’র সব বিভাগের আলো। নির্বাপিত হবে না কোনো দিনই।
কথাসাহিত্যিক
শিল্প-সাহিত্য নিয়ে ভালো কাজ করছে ‘যুগান্তর’ : ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক
২০ বছর পেরিয়ে ‘যুগান্তর’ ২১ এ পদার্পণ করল। এভাবেই ‘যুগান্তর’ একটা একটা করে বছর পেরিয়ে শিল্প, সাহিত্য অঙ্গনে কাজ করছে। আমি নিয়মিত ‘যুগান্তরে’র একজন পাঠক। অনেক পত্রিকায় ধর্ষকের ছবি প্রথম পৃষ্ঠায় বড় করে ছাপা হয়। একজন সুস্থ মানুষের মনে তা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবে না। ‘যুগান্তর’ এই বিষয়টিকে কৌশলে এড়িয়ে যায়। কারণ জঘন্যতম কাজ করেও প্রথম পৃষ্ঠায় তার ছবিটি প্রকাশ হওয়ায় নিজেকে সে বীরত্বের কাজ করেছে বলেই ভাববে। তার ভেতর অপরাধবোধ জন্মাবে না। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে ‘যুগান্তর’ উৎসাহিত না হয়ে সীমার ভেতর থাকে। নারীর প্রতি ‘যুগান্তরে’র দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। নারীর অবস্থান থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। ‘যুগান্তর’ আরও উন্নতি করবে এই প্রত্যাশা রইল। লেখক ও মনোবিজ্ঞানী
অনেক সম্ভাবনা অনেক স্বপ্ন রয়েছে : লায়লা হাসান
দৈনিক ‘যুগান্তর’ পত্রিকার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা। ‘যুগান্তরে’র এই দীর্ঘ পথচলায় অর্জন বেশ প্রশংসনীয়। তাই সাধুবাদ অবশ্যই প্রাপ্য। একটি সংবাদপত্রের জন্ম হয় মানবকল্যাণ, দেশের উন্নয়ন, সমাজ গঠনে সহায়তা ও দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য। আমার বিবেচনায় ‘যুগান্তর’ সেই ভূমিকা পালনে যথেষ্ট সচেতন ও সচেষ্ট ছিল। ‘যুগান্তর’ এ সবের ঊর্ধ্বে থেকে আজ একুশ বছরের দীপ্ত যুবক। অনেক সম্ভাবনা অনেক স্বপ্ন রয়েছে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে ব্রতী হয়ে অবদান রাখার। ‘যুগান্তরে’র কাছে আমাদের প্রত্যাশাও অনেক। আরও একটি বিষয় বলতেই হয় শিক্ষা ও সুস্থ সংস্কৃতির প্রভাব জাতীয় জীবনে, সমাজ বিনির্মাণে অপরিসীম, তাই এ বিষয়গুলোকে আরও বেশি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া প্রয়োজন। সেই প্রত্যাশাও রইল বহুল সমাদৃত ও পঠিত ‘যুগান্তরে’র কাছে। ‘যুগান্তর’ ভবিষ্যতেও সাংবাদিকতায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। অশেষ শুভকামনা ।
নৃত্যশিল্পী
এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক : কানিজ আলমাস খান
প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পেরিয়ে ২১ বছরে পদার্পণ করছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ‘যুগান্তর’। শুরু থেকেই সুনামের সঙ্গে দেশের একটি প্রধান গণমাধ্যম হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে পত্রিকাটি। এর সব সাংবাদিক বন্ধু এবং যারা এ পত্রিকা প্রকাশের সঙ্গে যুক্ত, তাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমরা জানি, ‘যুগান্তর’ বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি পত্রিকা। এর কারণ এতে পরিবেশিত সংবাদ নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ। পাঠক সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে গণমাধ্যমটি সচেষ্ট। সত্য তুলে ধরতে শুধু নয়, পরিস্থিতি ও পাঠকের আকাক্সক্ষা প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রকৃত তথ্য জ্ঞাপনে আপসহীন ভূমিকা পালন করে আসছে ‘যুগান্তর’। ফলে দল-মত নির্বিশেষে পত্রিকাটি সবার প্রশংসা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠার পর অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। দুই দশক পেরিয়েও তাতে ভাটা পড়েনি।
আমার বিশ্বাস, আগামী দিনেও যুগান্তরের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করি।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পারসোনা, সম্পাদক ক্যানভাস
‘যুগান্তর’ অসাধারণ সব সংবাদ পরিবেশন করে : রানী হামিদ
২১ বছরে ‘যুগান্তর’, একটি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে। এজন্য ‘যুগান্তর’কে শুভ কামনা। ‘যুগান্তর’ অসাধারণ সব সংবাদ পরিবেশন করে। বিশেষ করে খেলাধুলার সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে। সব ধরনের খেলাধুলার সংবাদগুলো আপডেট থাকে। এছাড়া দাবা খেলা বিষয়ক সংবাদগুলো গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়। এজন্য যুগান্তরের সংবাদকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ‘যুগান্তর’ যুগ যুগ ধরে পাঠকের জন্য এভাবেই সংবাদ পরিবেশন করে যাক। এই সাফল্যই কামনা করি।
দাবা খেলোয়াড়
‘যুগান্তর’ এখন টগবগে একুশে তরুণ : গুলসান নাসরিন চৌধুরী
২১ বছরে ‘যুগান্তর’। দেখতে দেখতে শিশু ‘যুগান্তর’ আজ টগবগে একুশের তরুণ। যদিও সেই শুরু থেকেই ‘যুগান্তর’ কখনওই আপস করেনি সত্য প্রকাশে। বরং এই দীর্ঘ ২১ বছরে ‘যুগান্তর’ আরও বেশি সাহসী আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়েছে। যুগান্তরের প্রতিটি পাতা পাঠকদের আকৃষ্ট করে। ‘যুগান্তর’-সুরঞ্জনা, ঘরে-বাইরে, বিনোদন, বিচ্ছু ইত্যাদি বিভাগ, খেলার খবর, বাণিজ্য সংবাদ এবং সমসাময়িক সমস্যাগুলো নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে মাধ্যমে সমাজকে সচেতন করে তোলে। অনেক ধন্যবাদ ‘যুগান্তর’ পরিবারের জন্য।
চেয়ারপার্সন, রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন
শুদ্ধ সাংবাদিকতার চর্চা হচ্ছে : শাহীনা আমীন
২১ বছরে ‘যুগান্তর’। নারী-শিশু, শিক্ষা, বিনোদন, অর্থনীতি, রাজনীতি নিয়েই ‘যুগান্তর’। প্রত্যহ ঘটে যাওয়া ঘটনার সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি শুদ্ধ সাংবাদিকতার চর্চা হচ্ছে। সাহসিকতার সঙ্গে দুর্লভ সংবাদ পরিবেশন করে। ‘যুগান্তরে’র একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে শুভকামনা রইল। এর দীর্ঘায়ু কামনা করি।
অধিনায়ক (পুলিশ সুপার), ১১ এপিবিএন
‘যুগান্তর’ নারী ও মানবাধিকার নিয়ে লেখালেখি করে : অ্যাডভোকেট এলিনা খান
‘যুগান্তর’ পরিবারের সব কর্মীকে শুভেচ্ছা জানাই। দীর্ঘ সময়, দীর্ঘ দিন একাত্মতার মধ্য দিয়ে ‘যুগান্তর’ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। দক্ষ সংবাদকর্মীর কারণেই এগিয়ে যাচ্ছে। ‘যুগান্তর’ নারী ও মানবাধিকার বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে। সেদিক থেকে একটি ভালো দিক হল-মানুষের সুখ-দুঃখ, নারী নির্যাতন এবং মানবাধিকার লংঘনের ঘটনাগুলো যেভাবে প্রকাশ করে তা মর্মস্পর্শী। এ সংবাদের মাধ্যমে জনগণ এবং সরকার এর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর পাশাপাশি গৃহবধূদের আত্মকথা বা তার জীবনের কথা যদি কোনো একটি পাতায় লেখা হয় তাহলে অনেক ভালো লাগার কথাও জনসমাজে উঠে আসবে। এর মাধ্যমে নারীর মধ্যে অন্তর্নিহিত ক্ষমতা জাগ্রত হবে। একই সঙ্গে এর মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নমূলক পরামর্শ পাব। তৃণমূল পুরুষ-রিকশা, ড্রাইভারের কথাও বলতে চাই। তাদের মনের কথা প্রকাশ করলে ভাবনাগুলো জানা যাবে। যা দেশের উন্নয়নের কাজে লাগবে। এর কারণ অলস মানুষ খারাপ কাজে উদ্বুদ্ধ হয়। ধর্ষণের মতো ঘটনা সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। পুরুষের এই সৃজনশীলতা ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা কমাতে সহায়ক হবে। সব ধরনের নির্যাতন মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে সোচ্চার হতে হবে।
চেয়ারপার্সন, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন
জনমনে ভালোবাসার জায়গা তৈরি করেছে সুরঞ্জনা : ড. শাহনাজ আরেফিন, এনডিসি
‘দৈনিক যুগান্তর’ নির্ভীক সাংবাদিকতার পথের সাহসী যাত্রী হিসেবে জনমনে ইতিমধ্যে একটি ভালোবাসার জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার ব্যত্যয় না ঘটিয়ে দীর্ঘ ২১ বছরের পথ পরিক্রমায় ‘দৈনিক যুগান্তর’ একটি মাইলফলক। নারী, শিক্ষা, বিনোদন, সাহিত্য, সম্পাদকীয়, লাইফস্টাইল, রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন খবর প্রকাশ করে চলেছে স্বমহিমায়। চলমান ঘটনার পাশাপাশি সম্পাদকীয় এবং ফিচারের প্রকাশনাতেও এ পত্রিকাটি বিশেষ বিশ্লেষণধর্মী পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার অগ্রযাত্রায় ‘যুগান্তরে’র সংবাদ প্রকাশের ইতিবাচক, আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও নির্ভীক প্রচেষ্টা প্রশংসনীয় বলে বিবেচিত হতে পারে। ২০২০ সালে ২১ বছরে পদার্পণকারী ‘যুগান্তর’ তার দায়িত্বপূর্ণ নিবেদিত ভূমিকা বজায় রেখে উত্তরোত্তর সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা রইল। অতিরিক্ত সচিব, সমন্বয় অনুবিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
অনলাইনেও পুরো কাগজটি পড়তে পারছেন পাঠক : ডা. সামছাদ জাহান শেলী
২১ মানেই তারুণ্য। তারুণ্যে ভরপুর ‘যুগান্তর’ ২১-এ পড়ল। ‘যুগান্তর’কে ধন্যবাদ। কীভাবে একজন মানুষ সুস্থ থাকতে পারেন সেই পরামর্শও ‘যুগান্তর’ গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করে। নারী-পুরুষের স্বাস্থ্যগত তথ্যগুলো এ পত্রিকার মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে আন্তজার্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যগত এ তথ্যের মাধ্যমে পাঠকমহল নিজের শরীর সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেন। এর ফলে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। এটা একটা ভালো উদ্যোগ। এ ছাড়া পত্রিকার সংবাদ অনলাইনেও পড়তে পারছেন পাঠকমহল। এ মাধ্যমেও তথ্যগুলো সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে কিছুটা হলেও পৌঁছে যাচ্ছে। এর দ্বারাও পাঠকমহল উপকৃত হচ্ছেন।
এ রকম একটি ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করায় ‘যুগান্তরে’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ‘যুগান্তরে’র দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ‘যুগান্তরে’র সব সংবাদকর্মীকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা।
অধ্যাপক, গাইনি ও অবস, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
‘যুগান্তর’ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে : ড. আশরাফুন্নেছা
প্রিন্ট মিডিয়া জগতে ‘যুগান্তর’ একটি জনপ্রিয় পত্রিকা। জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। এর গ্রাহক সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা প্রায় ৩ লাখের কাছাকাছি। জনগণ অনেক আস্থা নিয়ে এর মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত এবং সংবাদগুলো পেয়ে থাকেন। আমরা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পক্ষ থেকে এর মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বৃদ্ধি, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধসহ পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্যশিক্ষা পুষ্টির যেসব কার্যক্রম রয়েছে সেগুলো নিয়েও ‘যুগান্তর’ আমাদের পাশে থেকেছে। আমরা তাই ‘যুগান্তরে’র ২০ বছর পেরিয়ে ২১ বছরে পদাপর্ণকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। যুগ্ম সচিব (স্বাপকম), পরিচালক (আইইএম) ও লাইন ডাইরেক্টর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে ভূমিকা রাখবে : ফারাহ কবীর
২১ বছরে ‘যুগান্তর’, ‘যুগান্তর’ পরিবারের সব সংবাদকর্মীকে শুভেচ্ছা। বিগত দিনের মতো ভবিষ্যতেও ‘যুগান্তর’ সত্য, নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে ভূমিকা রাখবে। নির্ভীক সংবাদ পরিবেশনে আরও জোরাল ভূমিকা পালন করবে। প্রান্তিক মানুষের কথা বিশেষ করে নারী ও শিশু অধিকার, উন্নয়নের কথা বেশি বেশি তুলে ধরবে।
কান্ট্রি ডিরেক্টর, একশন এইড বাংলাদেশ
পাঠকমহলে যথেষ্ট সমাদৃত : সাঈদা খানম
তারুণ্যে উদ্দীপ্ত ‘যুগান্তরে’র ২১ বছর অনেকটা সময়। দীর্ঘ এই পথ পরিক্রমায় ‘যুগান্তর’ পরিবারের সব সংবাদকর্মীকে শুভেচ্ছা। মিথ্যের প্রচারণায় না থেকে সত্য ঘটনা অবলম্বনে সংবাদ পরিবেশন করা ‘যুগান্তরে’র একটা বিশেষ গুণ। অতিরঞ্জিত ঘটনা প্রকাশ না করে সত্য, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পাঠকমহলেও সমাদৃত। সবার মঙ্গল হোক এই প্রত্যাশা করি। প্রথম নারী ফটোগ্রাফার
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৭ জানুয়ারি ২০২০ /এমএম