Menu

আহসান রাজিব বুলবুল, কানাডা :: বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদ্যমান উষ্ণ সম্পর্ককে আরো অর্থবহ করে তুলতে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্প্রসারণের গুরুত্বপূর্ণ দিক ভেবেই, কানাডা এর “তেল ও গ্যাস এর রাজধানী” ক্যালগারিতে “স্ট্রাটিগ্রাফি এবং আনকনভেনশনাল রিসোর্সেস শিরোনামে” ছয় দিনব্যাপী এক সেমিনার আয়োজন করা হয়।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান গ্যাস চাহিদা মেটাতে জটিল স্ট্রাটিগ্রাফিক এবং আন কনভেনশনাল গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম গ্রহণ করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ। সেমিনার এ বিষয়গুলিতে স্বনামধন্য কানাডিয়ান বিশেষজ্ঞরা কেবলমাত্র প্রযুক্তিগত বিষয়ের তাত্ত্বিক দিকগুলিতেই নয়। বরং বাংলাদেশের গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমকে উপকৃত করার জন্য এই বিষয়ের প্রয়োগকৃত দিকগুলিতে বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

আশা করা হচ্ছে যে, সেমিনার এ অংশগ্রহণকারীরা আরও জটিল তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমের জন্য অবদান রাখতে শুরু করে বাংলাদেশ এর উন্নতির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। একই সাথে বিশ্বখ্যাত কানাডিয়ান তেল ও গ্যাস শিল্প এর দক্ষতা এবং পরিসেবাগুলির সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি সুদূরপ্রসারী নতুন দিগন্ত থেকে বাংলাদেশ তেল ও গ্যাস সেক্টর উপকৃত হবে।

ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক ড: পের পেডারসন বলেন, বাংলাদেশ স্টাডি গ্রাফিক ট্রাপ অনুসন্ধান কাজ বিশেষভাবে প্রয়োজন এবং সময় উপযোগী। ভবিষ্যতে এর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।ডঃ আবু ইউসুফ বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তেল ও গ্যাস উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই সেমিনার একটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস।

অ্যাডভান্স এনালাইসিস প্রক্রিয়া ব্যবহার করে গ্যাস উৎপাদন বাড়িয়ে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ যেন স্থান করে নিতে পারে এটিই সেমিনার এর মূল প্রয়াস। কানাডিয়ান বিশেষজ্ঞরা হলেন ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক ড. পের পেডারসন, আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত তেল ও গ্যাস পরামর্শদাতা সংস্থা স্প্রোল (SPROULE), বিশিষ্ট পেট্রোফিজিসিস্ট রামিন জামানি এবং কানাডিয়ান তেল ও গ্যাস শিল্পের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভূ-বিজ্ঞানী ড. আবু ইউসুফ। বাংলাদেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব নাজমুল আহসান এর নেতৃত্বে পেট্রোবাংলা এর উচ্চপদস্ত ভূতত্ত্ববিদ, ভূপদারত্ববিদ সহকারে বাপেক্স এর সিনিয়র ভূতত্ত্ববিদ এন্ড ভূপদারত্ববিদ সহ এগারো জনের একটি দল এতে অংশগ্রহণ করছেন।ছয় দিনব্যাপী এই সেমিনার থেকে অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশের তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি আধুনিক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে এমনটাই মনে করেন কানাডিয়ান বিশেষজ্ঞরা এবং বিশ্লেষকরা।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৬ অক্টোবর ২০১৯/এমএম


এই বিভাগের আরও সংবাদ