Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::  ওজন কমাতে হবে, এ দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। তার মানে আগেই মিষ্টি খাওয়া বন্ধ, ভাত খাওয়া বন্ধ। আলু, ময়দা, চিনি ছাড়াও আর যে যে খাবারে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি সব বন্ধ। কিন্তু কার্বোহাইড্রেট বেশি মানেই কি অস্বাস্থ্যকর। এ বিয়য়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন মোটেই না।

শরীর ভালো ও সুস্থ রাখার জন্য কার্বোহাইড্রেট ততটাই জরুরি, যতটা জরুরি ফ্যাট, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। এমন অনেক খাবার আছে, যাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকলেও তা অস্বাস্থ্যকর নয়। বরং স্বাস্থ্যকর। তেমন পাঁচটি খাবারের নাম আমরা জেনে নিন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক যে পাচ খাবার কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকার পরও সুস্বাস্থ্যের জন্য খাওয়া প্রয়োজন।

১. কিনোয়া

কিনোয়াকে বলা হয় সুপারফুড। অথচ রান্না করা কিনোয়ায় ৭০ শতাংশই থাকে কার্বোহাইড্রেট। তবে তার পাশাপাশিই থাকে আরও অনেক পুষ্টিগুণ, যা বাড়তি পাওনা কিনোয়া সম্পূর্ণ গ্লুটেন মুক্ত।

২. ওটস

ওটসও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এক বাটি ওটসে (৮১ গ্রাম) কার্বোহাইড্রেট থাকে ৫৪ গ্রাম। তবে তার সঙ্গে থাকে উপকারী ৮ গ্রাম ফাইবারও। কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকা সত্ত্বেও ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৩. কাবলি ছোলা

রান্না করা ১০০ গ্রাম কাবলি ছোলায় থাকে ৪৫ গ্রাম শর্করা। কিন্তু তাতে কি? ওই কাবলি ছোলায় যেমন ফাইবারের মাত্রা থাকে বেশি, তেমনই থাকে প্রোটিন ও আয়রন, যা শরীর ভালো রাখার পাশপাশি ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

৪. কলা

মাঝারি মাপের একটি কলায় ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। কিন্তু তার সঙ্গে থাকে পটাসিয়াম, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী কলা।

৫. রাঙা আলু

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমানোর ডায়েটে প্রতিদিন নিয়মিত রাঙা আলু খান। কারণ ১০০ গ্রাম রান্না করা রাঙা আলুতে থাকে ২১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। তার সঙ্গে ফাইবার, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ এবং পটাসিয়াম থাকে এ সবজিতে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৯ এপ্রিল ২০২৫ /এমএম


Array