বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: বিশ্বে এমন অনেক অদ্ভুত খাবার রয়েছে যা কোনো দেশের জাতীয় খাবার হিসেবে পরিচিতি পেলেও অন্য দেশে নিষিদ্ধ। ভেড়ার হার্ট, যকৃত এবং ফুসফুসের মিশেলে যে রান্নার পদ তৈরি হয়- এটি স্কটল্যান্ডের জাতীয় খাবার। পেঁয়াজ, রসুন, ওট-মিল এবং নানা ধরনের মসলার সহযোগে ভেড়ার পাকস্থলীর ভেতর সেই মিশ্রণ ভরে রান্না করা হয় এই অদ্ভুত খাবার ‘হাগিস’। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেলে এই হাগিস মিলবে না মোটেও। ভেড়ার ফুসফুসই নিষিদ্ধ সেখানে।
আমেরিকার চুয়িংগাম প্রীতির কথা তো প্রায় সবারই জানা। আর পশ্চিমি দেশের প্রভাবে এদেশেও চুয়িংগাম প্রীতি কিছু কম নয়। তবে আপনি কী জানেন, সিঙ্গাপুরে চুয়িংগাম খেলে আপনার শুধু জরিমানা নয়, দুই বছরের জন্য জেলও হতে পারে! তাই সিঙ্গাপুর বেড়াতে গেলে সাবধান, ভুলেও চুয়িংগাম খাবেন না।
স্যামন মাছের কথা তো নিশ্চয় শুনেছেন। স্বাদের জন্য ভোজন রসিকদের পছন্দের তালিকায় বেশ ওপরের দিকেই রয়েছে এই মাছ। প্রাকৃতিকভাবে হওয়া স্যামন নিয়ে সমস্যা না থাকলেও চাষ করা স্যামন অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ। এ ধরনের স্যামনের দেহ থেকে এমন কিছু বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হয় যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
পেঁপে আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। পেটের অসুখ অথবা অন্য যে কোনো ব্যাধিতে ডাক্তাররা রুগীকে পেঁপে খেতে বলেন। কিন্তু জিন প্রযুক্তিতে কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদিত পেঁপে নিষিদ্ধ করেছে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
পৃথিবীর শৌখিন খাবারের মধ্যে অন্যতম ক্যাভিয়ার। দামও আকাশছোঁয়া। মূলত নোনা পানির মাছের ডিম থেকেই তৈরি হয় এই খাবার। এদের মধ্যে সবচেয়ে দামি ক্যাভিয়ার তৈরি হয় বেলুগা মাছের ডিম থেকে। এদের আয়ু ১০০ বছর এবং ডিম পাড়তে সময় নেয় প্রায় ২৫ বছর। বর্তমানে এই মাছ বিলুপ্তপ্রায় হিসেবে গণ্য হওয়ায় এর কেনাবেচা নিষিদ্ধ। তবে আইনের ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে এখনও বিক্রি হয় বেলুগার সুস্বাদু ডিম।
ফ্যাটি লিভার কখনও কারও খাদ্য তালিকায় কি জায়গা করে নিতে পারে? তাও আবার হাঁস এবং রাজহাঁসের! আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয় খাবার এটি। একে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘ফোয়া গ্রা’। পাখিগুলোকে জোর করেই খাইয়ে লিভারে ফ্যাট জমানো হয়। পাখির ওপর এমন নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ জানিয়ে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ক্যালিফোর্নিয়া।
হাঙর নিয়ে কতশত গল্পই না বানানো রয়েছে। রয়েছে কত সিনেমাও। কিন্তু এই হাঙরের পাখনাও নাকি খাদ্য! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একসময় এই খাবার বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করলেও হাঙর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আইন করে বন্ধ করেছে এর কেনাবেচা।
র্যাক্টোপামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক রয়েছে, যা গবাদি পশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অনেকে মনে করেন এই রাসায়নিক মানবদেহে হার্টের অসুখ সৃষ্টি করতে পারে। ২০১৪ সালে আইন করে চীন, ইউরোপ এবং রাশিয়াসহ ১৬০টি দেশে এই রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ এখনও র্যাক্টোপামিন নিষিদ্ধ করেনি।
জামাইকার জাতীয় ফল অ্যাকি নিষিদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কেন জানেন? পাকা অবস্থায় এই ফল খেলে কোনো ক্ষতি না হলেও কাঁচা অবস্থায় এই ফল কোনোভাবে খেয়ে নিলে বমিসহ নানা ধরনের অসুখ এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৬ আগস্ট ২০১৯ / এমএম