Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ যারা চাকরিজীবী তাদের দিনের একটা বড় অংশ কাটে অফিসে। এ সময়ে সহকর্মীরাই যেনো কাছের মানুষ হয়ে উঠে। অনেক সময় সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করতে গিয়ে ব্যক্তিগত জীবনের টুকটাক আলোচনাও এসে পড়তে পারে। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাটা জরুরি। কিছুটা গসিপ, পরনিন্দা-পরচর্চা বা কিছুটা নিছকই সাংসারিক জীবনের আলোচনা- এসবই হতে পারে আলোচনার বিষয়বস্তু।

আবার অনেক সময় না চাইলেও কারও কারও সঙ্গে শত্রুতা তৈরি হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কিছু বিষয় আছে যেগুলোতে তাদের সঙ্গে জড়ানো মোটেও ঠিক নয়। আসুন জেনে নিই সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের চর্চাটা কেমন হওয়া উচিত-

১. হঠাৎ কখনও এক-দুবার বিপদে পড়ে কিছু টাকা ধার নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু নিয়মিতভাবে অথবা প্রতি মাসে টাকার জন্য হাত পাতলে বিষয়টি অনেকটা অভ্যাসে পরিণত হয়। এ ক্ষেত্রে সেখানে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। এ ছাড়া ধার করা টাকা ঠিক সময়মতো ফেরত না দিতে পারার মতো বিষয় ঘটলেও দেখা যাবে কাজের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক খারাপের দিকে যাচ্ছে।

২. আড্ডাবাজিটা আসলে বন্ধুদের সঙ্গেই ভালো মানায়। সহকর্মীর সঙ্গে অফিসের সময় আড্ডা দেওয়া কখনই ক্যারিয়ারের জন্য ভালো ফল বয়ে আনে না।

৩. অফিসে কোনো সহকর্মীকে ভালো লাগলে অনেকে সরাসরি প্রস্তাব দিয়ে বসেন। এটি মারাত্মক ক্যারিয়ারের জন্য। অফিসে এসব না হওয়াই ভালো।

৪. একান্ত কাছের কেউ অথবা ঘনিষ্ঠজন ছাড়া কোনো সহকর্মীর কাজের প্রশংসা সরাসরি করা উচিত নয়। এতে করে সহকর্মী আপনার করা প্রশংসাগুলোর কিছু অহেতুক কারণ ভেবে বসতে পারে এবং যার ফলে ভুল বোঝাবুঝিও সৃষ্টি হতে পারে।

৫. যে কোনো টিমওয়ার্কের ক্ষেত্রে সরাসরি কাউকে নেতিবাচক কিছু বলা মোটেও উচিত নয়। কাজ করার ক্ষেত্রে মোটামুটি সবাই কোনো না কোনো চাপে থাকেন। তাই কখনই নেতিবাচক কিছু না বলে বিপরীতে কাজটা কীভাবে করলে আরও ভালো করে করা যেতে পারে সে সমাধান দেওয়া উচিত।

৬. সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার আগে সঠিক শব্দ বাছাইয়ের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। সব মানুষ একরকম হয় না। কিছু এমন মানুষ থাকে, যে হয়তো আপনার কঠিন কথা শুনেও সহ্য করে নেবে; আবার এমনও মানুষ আছে যে, হয়তো আপনার সাধারণ কথাতেও অনেক প্রতিক্রিয়া দেখাবে। তাই সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে চিন্তাভাবনা করে।

৭. নিজের যাবতীয় শারীরিক সমস্যা সেগুলো একান্তই আপনার নিজের। এটি মানুন আর নাই মানুন তবু আপনার যাবতীয় সব শারীরিক সমস্যা নিয়ে আপনার সহকর্মীদের মাথাব্যথা নেই বললেই চলে।

৮. আপনি যেই চাকরি করছেন সেটি আপনার ভালো লাগছে না, আপনি অন্য কোথাও যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন এমন কথা সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। যে কোনো সময় আপনার সহকর্মী নিজের অজান্তেই তা ফাঁস করে দিতে পারে বসের কাছেও।

৯. যে কোনো কাজ করা নিয়ে সবসময় নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করবেন না। আবার ঘন ঘন নিজের নামিদামি জিনিস কিংবা বাড়ি-গাড়ির স্বপ্নের কথাও সবাইকে বলতে যাবেন না। এতে করে আপনার প্রতি সহকর্মীর ঈর্ষার জন্ম হতে পারে। পরবর্তীতে সেই ঈর্ষা থেকে কাজের ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সহযোগিতার হাত আপনার জন্য না-ও থাকতে পারে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ২৫ মার্চ ২০২৩ /এমএম