Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌  অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে বসে কাজ করতে হয়। অনেকে বাড়িতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বসে কাজ করে থাকেন। এমন জীবনযাপনে হতে পারে হাঁটুর অসুখ। খাদ্যাভাসে অনিয়ম, বাড়তি ওজন ও হাঁটাচলা কম করার অভ্যাসে হতে পারে অস্টিওপোরোসিস। এটি হাড়ের ক্ষয়জনিত একটি রোগ। প্রতিবছল বিশ্বের ৯০ লাখেরও বেশি মানুষের হাড় ভাঙে এই অস্টিওপোরোসিসের কারণে।

অনেকেই হয়তো কায়িক পরিশ্রম করেন, কিন্তু সেভাবে ব্যায়াম করেন না। কেউ হয়তো ভুল ব্যায়াম করে ডেকে আনছেন অকালে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা অস্টিওপোরোসিস। ওজন কমাতে কেউ কেউ অস্বাস্থ্যকর ডায়েট শুরু করে দেন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া। এ ক্ষেত্রে খাবারে পর্যাপ্ত মাত্রায় পুষ্টির অভাব ঘটে। ওজন কমলেওভেতর থেকে দুর্বল হয়ে যায় হাড়। আবার জিনগত কারণও এর জন্য দায়ী হতে পারে। সচেতনতা বাড়িয়ে সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চা অস্টিওপোরোসিসের শঙ্কা কমিয়ে দিতে পারে অনেকটই।ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বসে কাজ করলে হতে পারে হাঁটুর অসুখ

ডায়েট: অনেকেই ধারণা করেন হাড়ের জন্য কিছু বাজারচলতি ক্যালসিয়ামের ওষুধ খেলেই হাড়ের অনেকটা যত্ন নেওয়া হয়ে যায়। কিন্তু বিষয়টি ঠিক নয়। ক্যালসিয়ামের ওষুধ দীর্ঘদিন খেলে কিডনিতে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গিয়ে জমা হয়, এ থেকে পাথরও হতে পারে। তাই ওষুধে ভরসা না করে খাবারদাবারে আস্থা রাখাই ভালো। হাড় সুস্থ রাখতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, বোরন, ম্যাগনেসিয়াম, স্ট্রনটিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার।

সাধারণত, দুগ্ধজাত খাবার থেকে শরীর অনেকটা ক্যালসিয়াম পায়। তাই দুধ, পনির, ছানা, মাখন, দই অবশ্যই ডায়েটে রাখতে হবে। ল্যাকটোজে সমস্যা থাকলে সরাসরি দুধ না খেয়ে ছানা বা পনির খাবেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি, তেলযুক্ত সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন ডি থাকে, প্রতিদিনের ডায়েটে সেগুলোও রাখার চেষ্টা করবেন।যারা অস্টিওপোরোসিসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট রোদ পোহানো দরকার

ব্যায়াম: পেশির শক্তি বাড়ে এমন কিছু ব্যায়াম এ ক্ষেত্রে খুব উপযুক্ত। হাঁটুর সমস্যা ইতিমধ্যেই শুরু না হলে দৌড়, হাঁটাহাঁটি স্কিপিংয়ের মতো শরীরচর্চা প্রতিদিনই করতে হবে। সাঁতার বা নাচ দুটাই ভালো ব্যায়াম।কিন্তু হাঁটুর ব্যথায় যদি আগে থেকেই আপনার থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই তার বেছে দেওয়া কিছু ব্যায়াম প্রতিদিন করার চেষ্টা করবেন।

রোদকে গায়ে মাখুন: যারা অস্টিওপোরোসিসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট রোদ পোহানো দরকার। সূর্যের আলো প্রবেশ করলে শরীরে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বাড়ে। অস্টিওপোরোসিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি ভীষণ জরুরি। হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১৫ জুন  ২০২২ /এমএম

 


Array