বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: কানস লায়নস-২০১৯ এ গ্রে, ঢাকা প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশের হয়ে। বিজ্ঞাপন জগতের অস্কার হিসেবে পরিচিত কানস লায়নস এবার তিনটি পুরস্কার জিতেছে। দুটি সিলভার ও একটি ব্রোঞ্জ।
বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর মধ্যে সেরা ক্রিয়েটিভ কাজগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় কানস লায়নস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার হিসেবে থাকে একটি কানস লায়নস মেডেল ও সার্টিফিকেট।
গ্রে, ঢাকা এবারের কানস লায়নে তাদের অ্যাগ্রোব্যাংক প্রজেক্টটি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জমা দিয়েছেন যার মধ্যে ৮টি ক্যাটাগরিতে শর্ট লিস্টেড হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো, পিআর, ডিরেক্ট, মোবাইল, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-পভার্টি, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-ডিসেন্ট ওয়ার্ক ফর ইকোনোমিক্যাল গ্রোথ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-রিডিউসড ইনইকুয়ালিটি, ব্র্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স-ইভেন্ট এন্ড অ্যাকটিভেশান, ক্রিয়েটিভ ই-কমার্স।
এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুটি সিলভার লায়ন ও একটি ব্রোঞ্জ লায়ন অর্জন করেছে গ্রে, ঢাকা। ২০১৪ থেকেই বাংলাদেশের হয়ে কানস এ অংশগ্রহণ করছে গ্রে, ঢাকা। ১৮ পর্যন্ত অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে ফাইনালিস্ট হয়। যার মধ্যে ২০১৬ সালে গোল্ড পেয়েছিল-যা বাংলাদেশের প্রথম কানস লায়ন অর্জন।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও স্বপ্নের সঙ্গে যৌথভাবে অ্যাগ্রোব্যাংক প্রজেক্টটি করা হয়। বাংলাদেশের প্রান্তিক কৃষকরা যারা খুব বেশি ফসল ফলাতে পারে না আবার যতটুকু ফলে ততটুকু নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়তি থাকে। ফলে এই বাড়তি ফসলটুকুতে তারা ন্যায্যমূল্য পায় না।
অ্যাগ্রোব্যাংক তাদের জন্য একটি নতুন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে পরীক্ষামূলকভাবে। যেখানে কৃষক তাদের সেই বাড়তি ফসলটুকু জমা দিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে এবং প্রতিদিন তাদের ফসল জমা দিবে আর তাদের অ্যাকাউন্টে সেই ফসলের বিনিময়ে টাকা জমতে থাকবে। যা তারা তাদের মোবাইলে দেখতে পারবে, ম্যানেজ করতে পারবে। অন্যদিকে স্বপ্ন সেই তাজা শাক-সবজি-পোল্ট্রি দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা স্বপ্নের রিটেইল আউটলেটে বিক্রি করবে।
প্রজেক্টটির মূল আইডিয়া, পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন গ্রে, ঢাকার সিনিয়র ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ আকরুম হোসেন শাহিন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন গ্রে, ঢাকার চীফ ক্রিয়েটিভ ম্যানেজিং পার্টনার ও কান্ট্রি হেড সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন।
অ্যাগ্রোব্যাংক প্রজেক্টটিতে আরও যারা নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন তারা হলেন, গ্রুপ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর নুরুর রহমান বাচ্চু, অ্যাসোসিয়েট ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর তাওহিদ মিলটন ও শরিফুল ইসলাম তামিম, ক্রিয়েটিভ সুপারভাইজার নুরুল ইসলাম, সিনিয়র কপিরাইটার ওয়ালিদ রাজামিয়া ও রাকিব কিশোর, সিজি অ্যানিমেশান-আবির কর্মকার।
ক্লায়েন্ট সার্ভিসিংয়ে ছিলেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ মোহম্মদ তারিক, গ্রুপ অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার জিহাদ বিন তাহজিব, প্ল্যানিং ডিরেক্টর বিটপ দাস গুপ্ত, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিক ম্যানেজার ফাহিম খান, সিনিয়র অ্যাকাউন্ট এক্সিকিউটিভ নুহাশ আনজুম খান, ভিপি মিডিয়া, পিআর এন্ড ডিজিটাল মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি এবং প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মনামি সানজিয়া হোসাইন।
গ্রে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কানস লায়ন অত্যন্ত সম্মানজক একটি অর্জন। এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। অত্যন্ত গৌরবের একটি বিষয়। এই অর্জন আমাদের ক্রিয়েটিভ কাজের আন্তর্জতিক স্বীকৃতি।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৩ জুন ২০১৯/ এমএম