Menu

শেষ দিনে জমজমাট পোল্ট্রি মেলা

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: শেষ দিনে বেশ জমে উঠেছে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী পোল্ট্রি মেলা। দেশের পোল্ট্রি শিল্পকে ত্বরান্বিত করতে গত ৭ মার্চ ‘ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল’ এ মেলার আয়োজন করে। আজ মেলার শেষ দিন।

মেলায় দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। শেষ দিনে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ও চোখেপড়ার মতো। যে কেউ বিনা টিকিটে একটি ভিজিটিং কার্ড সংগ্রহ করে মেলার যেকোনো স্টল ঘুরে দেখতে পারছেন অনায়াসে এবং পছন্দের পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছেন।

ঝিনাইদহ থেকে মেলায় এসেছেন নূর-ই কুতুবুল আলম। তিনি বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন। কৃষিখাতের প্রতি তার গভীর আগ্রহ রয়েছে। স্বপ্ন দেখেন এই খাতের একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার। তিনি বলেন, বৃহত্তর কৃষিখাত বিশেষ করে পোল্ট্রি শিল্পে ভালো কিছু করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। অল্পপুঁজি বিনিয়োগ করে যথেষ্ট মুনাফা লাভের সুযোগ রয়েছে এখানে। ব্যাপারগুলো আরও ভালোভাবে জানার জন্যই ছুটে আসা।

গাজীপুর থেকে এসেছেন মো. সেলিম মোল্লা। পেশায় তিনি একজন চাকরিজীবী। পোল্ট্রি শিল্পের প্রতি তার আগ্রহ বরাবরের মতোই। বাড়িতে নিজের একটি পোল্ট্রি ফার্ম আছে তার। এখানে প্রায় ১০০০ মুরগির ধারণক্ষমতা আছে। তিনি স্বপ্ন দেখেন তার এই ছোট ফার্মটিকে একদিন বড় পরিসরে চালু করার।

তিনি বলেন, পোল্ট্রি মেলায় এসে অনেক ভালো লাগছে। বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ হচ্ছে। মেলায় এসে মানসম্মত পণ্য খুঁজে পেতেও সুবিধা হচ্ছে। তবে আশা করছি পোল্ট্রি শিল্পের চলমান অস্থিরতা কাটাতে সরকার শিগগিরই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

মেলায় অংশ নেয়া নারিশের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং (অ্যাকুয়া) ম্যানেজার মো. ওবাইদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে সরকার পোল্ট্রি শিল্পের অস্থিরতা কাটিয়ে উঠেছে। তারা মূলত ব্রয়লার, লেয়ার ও মাছের খাদ্য উৎপাদনের দিকে বেশি ঝোঁক দিচ্ছেন।

এসিআই গোদরেজ এগ্রোভেট প্রাইভেট লিমিটেডের সিনিয়র অফিসার সোহরাব হোসেন বলেন, মানসম্মত খাদ্য খামারিদের হাতে পৌঁছে দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। চলমান অস্থিরতা কাটাতে সরকারের কার্যকরী নীতির কোনো বিকল্প নেই।

আফতাব বহুমুখী পোল্ট্রি ফার্ম লিমিটেডের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজার এম এ রাজ্জাক মোল্লা মনে করেন, এই শিল্পের অস্থিরতা দ্রুতই কেটে যাবে। চাহিদার তুলনায় ডিম ও পোল্ট্রি মাংসের সরবরাহ বেশি হওয়ায় সাময়িকভাবে অস্থিরতা বেড়েছে।

দর্শনার্থীদের কাছে তাদের বার্তা হলো, অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত নিরাপদ পণ্য সরবরাহ করা। তারা বিভিন্ন রকমের ফিড বিক্রি করে থাকেন। এমনকি একদিনের বাচ্চাও বিক্রি করেন।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/৯ মার্চ ২০১৯/ইএন