Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস ::‌ কানাডার আলবার্টা সহ বিভিন্ন প্রদেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করছে। বরফাচ্ছন্ন কানাডার আট মাসই বরফে আচ্ছাদিত থাকে, চার মাস থাকে গ্রীষ্ম। এই সময়টাতে কানাডিয়ানরা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় চলাফেরা করতে অভ্যস্ত। কানাডার আলবার্টা প্রদেশে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবাসী বাঙালিরাও বিচলিত।

গরমে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক প্রবাসী বাঙ্গালীদের কে সবুজে ঘেরা পাহাড়, ঝরনা আর পর্বতসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে পুরো সপ্তাহ এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে।

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশের মধ্যে আলবার্টা অন্যতম প্রদেশ। পশ্চিমাঞ্চলীয় আলবার্টায় ১ জুলাই থেকে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখানে ইতোমধ্যে ৭০% নাগরিককে টিকা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে দুটি টিকা সম্পন্ন গ্রহণকারীরা এখন আলিঙ্গন করতে পারবে।

কানাডা-প্রবাসী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার লুবনা জাহান জানালেন–বরফাচ্ছন্ন শীতের এই দেশে থাকতে থাকতে আমরা এখানকার আবহাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। হঠাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের গ্রীষ্মের কথা খুব মনে পড়ছে। কাঁচা আমের কাসুন্দি দিয়ে মাখানো আঁচার আর মা-মাটির দেশ কে খুব মিস্ করছি। প্রবাসে থাকলেও সবসময়ই দেশ আমাদের হৃদয়ে।

কানাডার প্রবাসী বাঙালি ও বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সোহাগ হাসান জানালেন–এই মুহূর্তে সত্যিই দেশের কথা খুব মনে পড়ছে। সবুজেঘেরা মনোরম পরিবেশে গাছের নিচে বসে কতই না সুন্দর সময় কাটিয়েছি। হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে তিনি আরো জানালেন করোনা কালীন এই সময়ে প্রিয়জনরা অনেক ভালো থাকুক এটাই আমার প্রত্যাশা।

অন্যদিকে কানাডার অন্যান্য প্রদেশেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে।উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা এলেও বিভিন্ন প্রভিন্সে বিধি-নিষেধ শিথিল ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রথম ধাপ শুরুর প্রস্তুতি চলছে।

অন্টারিওতে গত ১৮ জুন রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ১ম ধাপ শুরু হয়েছে। এর ফলে সেখানে খুচরা ব্যবসায়ীরা ধারণ ক্ষমতার ১৫% ব্যবহার করে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবেন। এছাড়া বার ও রেস্টুরেন্টগুলো তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনের খোলা জায়গায় গ্রাহকদের সেবা দিতে পারবে।

তবে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডা: লরেন্স লোহ বলেন, কানাডায় সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগী ভর্তি কমে গেলেও ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট খুবই সংক্রমক, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের মাত্র ৩৩% ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম। তাই তিনি সবাইকে যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ২৮ জুন ২০২১ /এমএম


এই বিভাগের আরও সংবাদ