সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, নিজেদের ব্যবহারের জন্য রাখার পর এই স্যাটেলাইটের বাড়তি সক্ষমতা বিক্রির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং সাশ্রয় দুইই হবে।
এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটকে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে এর মাধ্যমে। দুর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতেও ভূমিকা রাখবে এই স্যাটেলাইট।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা পুরোটাই নির্ভর করবে ব্যবসার কৌশলের ওপর। স্যাটেলাইটটি কার্যক্রম শুরু করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা যাবে, তার আর্থিক মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না বলে মনে করেন তারা।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যাটেলাইট যুগে বাংলাদেশ খুবই নবীন, তাই প্রথমেই এর ব্যবসায়িক বিষয়টা বিবেচনা না করে গর্বের বিষয়টাই গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। দেরিতে হলেও আমরা এ যুগে প্রবেশ করতে পেরেছি।”
তিন হাজার কোটি টাকা খরচে তৈরি এই স্যাটেলাইটের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে সরকার বাংলাদেশ কমিউনিকেশনস স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) গঠন করেছে।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বর্তমানে তাদের ৩৯ জন যোগ্য জনবল রয়েছে।
সুবিধা আছে, আছে বাধাও
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মূলত একটি যোগাযোগ উপগ্রহ।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক নিবন্ধে বলেছেন, এর মাধ্যমে মূলত তিন ধরনের সেবা পাওয়া সম্ভব। এগুলো হল- সম্প্রচার, টেলিযোগাযোগ এবং ডেটা কমিউনিকেশন।
বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব টেলিভিশন চ্যানেল এবং রেডিও চালু রয়েছে সেসব মূলত অন্য কোনো দেশের স্যাটেলাইটে নির্ভর করে সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
সরকারের আশা, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ যে ১৪ মিলিয়ন ডলার (১১8 কোটি টাকা) ব্যয় হয়, এ উপগ্রহ উৎক্ষেপণে সেই অর্থ সাশ্রয় হবে।