Menu

লিভার ম্যাটাসটাটিক ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন উপায় খুঁজতে ড. মোকাররম হোসেনকে ব্যানটিং পোস্টডকটোরাল ফেলোশিপ প্রদান

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: ক্যালগ্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডকটোরাল গবেষক ড. মোকাররম হোসেন ২ বৎসরের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ব্যানটিং পোস্টডকটোরাল ফেলোশিপ লাভ করেছেন। তার যুগান্তকারী গবেষণা যা কোলোরেকটাল ক্যান্সার লিভার ম্যাটাসটাসিসের নতুন চিকিৎসার সন্ধান দিতে পারে, তাকে এই বিরল সম্মান এনে দিয়েছে।

ড. হোসেনের এই গবেষণাটির ভিত্তি হল তার নির্দেশক ড. পল কুবসের আগের আবিষ্কার যেখানে তিনি দেখিয়েছিলেন যে পেরিটোনিয়াল ক্যাভিটিতে যে রোগপ্রতিরোধী কোষগুলো (ম্যাক্রোফেজ নামে পরিচিত) থাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত লিভারকে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

পেরিটোনিয়াল ক্যাভিটি হল আমাদের পেটের ভিতরের ফাঁকা জায়গা যেখানে লিভার, পাকস্থলী, কোলন, প্যানক্রিয়াস ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাদি অবস্থান করে। ভয়ের ব্যাপার হল, এই ম্যাক্রোফেজগুলো যদি ক্ষতিগ্রস্থ অঙ্গাদির সাথে এসব অঙ্গে জন্ম নেয়া ক্যান্সারকেও সারিয়ে তোলে তাহলে তো মহাবিপদ!

ড. হোসেন বলেন, “আমি দেখছি যে, পেরিটোনিয়াল ক্যাভিটির ম্যাক্রোফেজগুলো ম্যাটাসটাটিক লিভার ক্যান্সারে আসছে এবং এই ক্যান্সার কোষগুলোর বৃধধীতে সহায়তা করছে।”

আমি সরাসরি এই ম্যাক্রোফেজগুলোর গতিপ্রকৃতি রেকর্ড করেছি, যাতে কিভাবে তারা ক্যান্সারের উপস্থিতি সনাক্ত করে তা বুঝতে পারি। এটা করতে পারলে আমি তাদের ক্যান্সারে আসা ঠেকাতে পারব যা এই ধরনে ক্যান্সারের বৃধধী কমাতে কাজে আসবে।

ড. হোসেনের নির্দেশক ড. কুবস যিনি ক্যালগ্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাইডার ইন্সটিটিউট ফর ক্রনিক ডিজিজেসের পরিচালক বলেন, “যখন মোকাররম প্রথম এই লাবে আসে, সব মাইক্রোস্কোপ দেখে ওর যে কি এক্সসাইটমেনট! সে লাব এর সব মাইক্রোস্কোপ এর মাধ্যমে ক্যান্সারের বৃধধী সন্মন্ধিত বিশদ গবেষণা করসে।”

তিনি আরো বলেন, “মোকাররম এর শেয়ারিং এবং সহযোগিতামূলক আচরণ তার ল্যাবকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।”

ড. কুবসের যুগান্তকারী গবেষণা আর তার ল্যাবের বিশ্বখ্যাত মাইক্রোস্কোপি সুবিধাদি ড. হোসেনকে ক্যালগ্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে আক্রিস্ট করে। কোলরেকটাল ক্যান্সারের প্রাথমিক নির্ণয়ের সময়ই অনেক রোগীর লিভার ম্যাটাসটাসিস হয়ে থাকে যা চিকিৎসকদের চিকিতসা বেছে নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দ্রুত ক্যান্সার নির্ণয়ের সঙ্গে ক্যান্সারের বৃধধী ঠেকানোর নতুন উপায় অনেক ক্যান্সার রোগীর জীবন রক্ষা করতে পারে।

ড. হোসেন বলেন, এই ধরনের সুযোগ খুবই বিরল। মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কাজে লাগতে পারাটা প্রশান্তিদায়ক।

তিনি আরো বলেন, “ইঁদুরের উপর গবেষণা থেকে তিনি সম্ভাবনাময় ফল পেয়েছেন। যদি সফল হয় তাহলে কেমোথেরাপি আর ইমুনোথেরাপির পাশাপাশি এই গবেষণা নতুন ধরনের ক্যান্সার নিরাময়কারি ওষুধ তৈরিতে সাহায্য করবে।”

ড. হোসেন বলেন, “ক্যান্সার কোষগুলো খুবই চালাক, তারা তাদের উপর সবধরনের আক্রমন এরাতে পারে।” এজন্য তাদের বৃধধী ঠেকাতে বিভিন্ন দিক থেকে আক্রমণ করতে হয়। আমার এই গবেষণা ক্যান্সার ঠেকানোর জন্য চিকিৎসকদের হাতে আরও একটা নতুন উপায় তুলে দিবে বলে আমি আশাবাদী।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৯ মে ২০১৯/ এমএম


এই বিভাগের আরও সংবাদ