Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: কানাডায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। ধারণা করা হচ্ছে জানুয়ারিতেই কোভিডে মৃত্যু বিশ হাজারে পৌঁছতে পারে।

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, এবং কুইবেকে নাটকীয় ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপক হারে চাপ পড়ছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেওয়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাস কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

আজ ১৫ জানুয়ারী শুক্রবার কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা থেরেসা ট্যাম কর্তৃক প্রকাশিত নতুন জাতীয় মডেলিংয়ে দেখা যাচ্ছে যে, কানাডায় বৈশ্বিক মহামারীকোভিড-১৯ এ আগামী ১০ দিন বা ২৪ জানুয়ারির মধ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৩০ জন এবং একই সময়ে অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারির মধ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ১৯ হাজার ৬৩০ জন। এতএব এখনই জরুরী ব্যবস্হা গ্রহন না করলে আইসিইতেও বেড পাওয়া কঠিন হতে পারে।

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ সারা ক্যানাডায় যেভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আগামী সপ্তাহগুলিতে হাজার হাজার নতুন সংক্রমণ এবং হাজার হাজার অতিরিক্ত মৃত্যুর পূর্বাভাস আশংকা করা হচ্ছে।

কানাডার পাবলিক হেলথ এজেন্সি (পিএইচএসি) দ্বারা প্রকাশিত নতুন মডেলিং থেকে আরও জানা যায় যে, জনগণ যদি বাহিরের মানুষের সংগে তাদের যোগাযোগের মাএা বাড়িয়ে দেয়, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যা ট্রিপলের চেয়ে বেড়ে দৈনিক ৩০ হাজারের এরও বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে কানাডিয়ানরা যদি কেবলমাত্র তাদের বাড়ির বাইরের লোকজনদের সাথে যোগাযোগের বর্তমান স্তরটি বজায় রাখে, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণের সংখ্যা এখন দৈনিক ৭ হাজার ৯ শত থেকে বেড়ে প্রায় দৈনিক ১৩ হাজার হয়ে যাবে। মডেলাররা আরও বলে যে, বর্তমান সনাক্ত গণনার উপর ভিত্তি করে বলা যায়, কানাডা করোনাভাইরাসের বিষয়ে”খুব দ্রুত বৃদ্ধির গতিতে রয়েছে”।

পিএইচএসি আরও জানিয়েছে,পরের দেড় সপ্তাহের আরও প্রায় এক লক্ষ লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।উল্লেখ্য, কানাডায় আনুষ্ঠানিক ভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৭শত ৭ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭ হাজার ৭শ’ ২৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ১ হাজার ৯ শ’ ১১ জন।অন্যদিকে দেশটির সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুততম সময়ে কিভাবে নাগরিকদের টিকার আওতায় আনা যায় তার ওপর জোর গুরুত্বারোপ করছে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১৬ জানুয়ারি ২০২১ /এমএম


এই বিভাগের আরও সংবাদ