Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ইতিমধ্যেই টিকা এসে পৌঁছে গেছে। কানাডায় এ পর্যন্ত ফাইজার এবং মডার্নার টিকা মিলিয়ে মোট ৪ লাখ ২৪ হাজার হাজার ৫০ ডোজ টিকা হাতে পেয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে সারা দেশে মাত্র ১ লাখ ৪৮ হাজার নাগরিককে টিকা দেয়া হয়েছে।

ধীরগতির কারনে টিকা গুলো এসে ফ্রিজারে পরে আছে, অথচ নাগরিকরা পাচ্ছেন না। টিকা দেয়ায় প্রভিন্সগুলোর এই ধীর গতির কারনে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান মন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টিকা দেয়ায় ধীর গতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ফ্রিজারে ভ্যাকসিন পরে আছে অথচ নাগরিকদের শরীরে এগুলো এখনো পৌছায় নাই। আমি নিজে এবং কানাডীয়ানরা এতে হতাশ।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, জানুয়ারির মধ্যে কানাডায় এক মিলিয়ন ডোজ টিকা এসে পৌঁছবে। প্রতিজনকে দুটি করে ৫ শত হাজার নাগরিককে জানুয়ারীর মধ্যেই টিকা দেয়া যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের জন্য করোনা ভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করা হবে।

যদিও বিভিন্ন প্রদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদান চলছে। এরমধ্যে টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে অন্টারিও প্রভিন্স। এই প্রভিন্সে মাত্র ৫০ হাজার নাগরিককে এই পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কানাডায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ১৪ ডিসেম্বর। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ১৮ হাজার ৬৪৬ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬ হাজার ২শ’ ৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫ শ’ ৬৪ জন।

অন্যদিকে কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, এবং কুইবেকে নাটকীয় ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।

সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেওয়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাস কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।উল্লেখ্য দেশটির সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুততম সময়ে কিভাবে নাগরিকদের টিকার আওতায় আনা যায় তার ওপর জোর গুরুত্বারোপ করছে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/০৬ জানুয়ারি ২০২১ /এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ