আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: কানাডার আলবার্টায় সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আগত একজন ব্যক্তির মধ্যে কোভিড-১৯ ভেরিয়েন্টের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা আলবার্টা হেলথ নিশ্চিত করেছে।
সোমবার বিকেলে আলবার্টার চীফ মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার ডিনা হিনসা কোভিড-১৯ আপডেটের সময় বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন- সুসংবাদটি হ’ল সনাক্তকরণ ব্যক্তি নিজেকে পৃথকীকরণ এবং জনস্বাস্থ্যের অন্যান্য ব্যবস্থা অনুসরণ করেছেন যা তার করা উচিত ছিল এবং তিনি তাই করেছেন, এই মুহুর্তে আর কোনও ছড়িয়ে যাওয়ার প্রমাণ নেই।
তিনি আরো বলেন- এটি মনে রাখা জরুরী যে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে স্থানে রয়েছে তা এই রূপের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক এবং আমরা একে অপরকে রক্ষা করার জন্য সর্বোত্তম কাজটিই অনুসরণ করছি।
আলবার্টা হেলথ সার্ভিসেস বর্তমানে ফ্লাইটের বিশদ বিবরণ এবং শনাক্ত ব্যক্তিটি যে ফ্লাইটটিতে ছিল, সেই ফ্লাইটের যাত্রীদের তালিকার সন্ধানের জন্য কাজ করছে, যাতে যে কোনও যাত্রী যারা এখন আলবার্টায় রয়েছেন তারা সনাক্ত ব্যক্তির কাছের সারিতে বসে থাকতে পারে বা সংস্পর্শে থাকতে পারে, সেজন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে।
আলবার্টার চিফ মেডিকেল অফিসার ডাক্তার দিনা হিনসা আরো বলেন-সনাক্ত ব্যক্তিটি কখন বিমান বন্দরে পৌঁছেছিল এবং লক্ষণগুলি কখন শুরু হয়েছিল তার মধ্যে একটি সময়ের বিলম্ব হয়েছে, যে কারনে এটি সংক্রমণের তাত্ত্বিক সম্ভাবনা রয়েছে যা আমরা এই মুহুর্তে বিশেষত এমন ব্যক্তিদের অনুসরণ করছি যাঁরা সনাক্ত ব্যক্তির নিকট সারিগুলিতে বসে ছিলেন এবং আবারও আমরা পরিস্থিতি দেখেছি এবং ঝুঁকি খুব কম বলে বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্য থেকে সব ধরনের ফ্লাইট কানাডা আসার উপর নিষেধাজ্ঞা করেছে। এছাড়াও গত ১৪ দিনের মধ্যে আমেরিকা বা দক্ষিণ আফ্রিকাতে থাকা যে কোনও ব্যক্তি আলবার্টায় প্রবেশ করলে তাকে আলবার্টা হেলথ সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং ভেরিয়েন্টের আরও কোনো লক্ষণ থাকলে তা সনাক্ত করতে সহায়তা করার জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা দিতে হবে।
অন্যদিকে আলবার্টার ক্যালগারি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বলছে পরীক্ষামূলক পাইলট প্রোগ্রাম যা কিছু ভ্রমণকারীকে কোয়ারেন্টাইন কমাতে সহায়তা করে তা এখনও কার্যকর , যদিও যুক্তরাজ্য বা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত ভ্রমণকারীদের জন্য নয়।
উল্লেখ্য নতুন ভেরিয়েন্টটি ভাইরাসের অন্যান্য ফর্মের চেয়ে বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে মনে করা হয়, তবে কোনও ব্যক্তি একবার সংক্রামিত হওয়ার পরে একই রকম প্রভাব ফেলতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন এখনও পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ নেই যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলি ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়, তবে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
অন্যদিকে কানাডার স্বাস্থ্যখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল পাবলিক হেলথ এজেন্সী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে-
যুক্তরাজ্যে চিহ্নিত হওয়া করোনা ভাইরাসের নতুন প্রকৃতি (ইউ কে ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত) ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে না। এমনকি এটি মারাত্মক কোনো অসুস্থতাও সৃষ্টি করতে পারে না।
হেলথ কানাডার বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে চিহ্নিত নতুন প্রকৃতির কোভিড (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট) অধিকতর সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম- প্রাথমিত তথ্য উপাত্তে এই ধারনা পাওয়া গেলেও এটি যে গুরুতর অসুস্থতা তৈরি করে কিংবা মানবদেহের এন্টিবডির সক্ষমতা বা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতায় কোনো ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে- এখন পর্যন্ত তার কোনো প্রমান নেই। এটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরো গবেষনা দরকার। কানাডাসহ বিশ্বের গবেষক,চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা কোভিডের এইা মিউটেশন সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করছে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ৩০ ডিসেম্বর ২০২০/এমএম





