আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: কানাডায় মডার্নার ভ্যাকসিন সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং মানের প্রয়োজনীয়তা পূরণে এগিয়ে রয়েছে। করোনা মহামারীর সংকটময় এই মুহূর্তে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে ভ্যাকসিন বিতরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর থেকে কানাডায় প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের এবং অন্যান্য কর্মচারীদের ফাইজার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে এর সীমিত সরবরাহের জন্য সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এখন মডার্না ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু হলে দেশের বেশির ভাগ মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে সেনা নেতৃত্বে ভ্যাকসিন বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। করোনা মহামারী মোকাবিলায় মূল্যবান ভ্যাকসিন সরবরাহে হুমকির আশঙ্কা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, ভ্যাকসিন সরবরাহ চেইনের অখণ্ডতা রক্ষায় এর বিকল্প নেই। আমরা সবসময় সকল সম্ভাব্য হুমকি পর্যালোচনা করছি।
এদিকে, ফেডএক্স করপোরেশনের কানাডাভিত্তিক সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যামেরিসোর্সবার্গেনের অধিভুক্ত ইনোমার স্ট্র্যাটেজিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা কানাডাজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মডার্নার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করেছে।
মডার্নার এই ভ্যাকসিন ৯৪.১ শতাংশ বেশি কার্যকর করোনায় আক্রান্তের জন্য। এই ভ্যাকসিনটি -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (-৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট)-এ সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এটি ফাইজার ভ্যাকসিনের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ, অতএব দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে। ফলে বিতরণ করা যাবে সহজেই।
দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিন সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং মানের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে। মডার্না ভ্যাকসিন আক্রান্তদের দিলে কোনও সমস্যা হবে না বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিন দীর্ঘদিন স্টোরেজ করার সুবিধা রয়েছে, তাই দেশের বিচ্ছিন্ন ও প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলিতে আগে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪১ হাজার ৬১৬ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ হাজার ৮ শত জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২শত ২২ জন।
উল্লেখ্য কানাডায় এ বছরের মার্চ মাসে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়। ভাইরাস টি শনাক্ত হবার পর থেকেই দেশটির সরকার নাগরিকদের জনস্বাস্থ্যর গুরুত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ব্যপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশটির সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দেশটিতে গুরুত্বসহকারে নাগরিকদের মাঝে ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই সবাই এই ভ্যাকসিন পাবে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ২৭ ডিসেম্বর ২০২০/এমএম





