Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: কানাডায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান “বড়দিন” বা “ক্রিসমাস ডে”। এই দিনটিকে ঘিরে চলে নানা আয়োজন। কানাডায় দিনটির আগে থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন অফিসে বিভিন্ন ধরনের পার্টি।

কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাস থাকার কারনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে ঘটা করে বা জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন হচ্ছে না কোনো অফিসের পার্টি অথবা বাড়িতে বড় কোনো আয়োজন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন করোনার এই মুহূর্তে বেঁচে থাকাই সবচেয়ে বড় কথা।

কানাডায় এ সময় চলে ছুটির আমেজ, দেশটির নাগরিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ-ফূর্তিতে নিজেদের মধ্যে সময় কাটায়। আলোক সজ্জায় সজ্জিত হয় অফিস আদালত আর কেনাকাটার বিভিন্ন মল। পরিবহন গুলিতে লেখা হয় “হ্যাপি হলিডে”। যেন এক আনন্দের আমেজ। সবকিছু ঠিক থাকলেও এ বছর কেন জানি ম্লান হয়ে আছে, থেমে আছে গতি। ভারী হচ্ছে হৃদয়ের অনুভূতি।

এ্যনথনি জ্যাকব জানালেন- নশ্বর এই পৃথিবীতে আমরা কেউই থাকবো না, ইতিমধ্যেই অনেকেই চলে গেছেন করোনা মহামারীরতে। হিংসা, লোভ-লালসা ও করোনা মহামারী থেকে আমাদের দূর রেখে সকলের মাঝে সুখ শান্তি দান করবেন, ঈশ্বরের কাছে এ বছর এটাই আমাদের প্রার্থনা।

পারিনা জ্যাকব জানালেন, প্রতি বছরের মতো হয়তো ঘটা করে অনুষ্ঠান করতে পারবো না, তবুও পরিবার-পরিজনের জন্য আমরা কিছু উপহার সামগ্রী কিনবো। এ বছর আমরা ভার্চুয়ালি প্রার্থনা করব ঈশ্বরের কাছে। আমাদের একটাই প্রার্থনা আমরা এই মহামারী থেকে মুক্তি চাই। ঈশ্বর আমাদের মঙ্গল করুন।

জয়ন্ত চৌধুরী জানালেন- সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটাই এই মুহূর্তে বড় কথা। সমগ্র বিশ্ববাসীর সুখ শান্তি কামনা করে
এ বছর আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব যেন সব কিছুই আগের মত স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং আমাদের করোনা মহামারীর এই ক্রান্তিলগ্ন থেকে মুক্তি দান করেন।

করোনা মহামারীর এই সময়ে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের প্রিমিয়াররা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন কিভাবে কানাডিয়ানদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সুশৃংখল নিয়ন্ত্রণ এবং ছুটির উপভোগ্য সময়গুলোতে ভারসাম্য তৈরি করা যায়।

ম্যানিটোবা প্রিমিয়ার ব্রায়ান প্যালিস্টার তার প্রদেশকে সমাবেশ ছাড়াই ক্রিসমাসের পরিকল্পনা করার কথা বলেছেন।অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় ফাইজারের ভ্যাকসিনটিকে গ্রহনযোগ্য মনে করছে কানাডা। ক্রিসমাসের আগেই এটি ব্যবহারের অনুমোদন দিতে পারে হেলথ কানাডা।

স্বাস্থ্যখাতের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হেলথ কানাডার প্রধান উপদেষ্টা ড. সুপ্রিয়া শর্মা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, হেলথ কানাডার পর্যালোচনায় ফাইজারের ভ্যাকসিনটি সবচেয়ে অগ্রসর এবং নিরাপদ মনে হয়েছে।ক্রিসমাসের আগেই এর ব্যবহারের অনুমোদন দিতে হেলথ কানাডা কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও ক্রিসমাসের আগেই ভ্যাকসিন অনুমোদনের পকিল্পনা নিয়েছে।

কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন। একদিকে শীতের প্রকোপ অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবুও প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন আর সুদিনের অপেক্ষায় কানাডাবাসী।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭০ হাজার ২৭৮ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১২ হাজার ৩২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪ শত ১১ জন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ৩০ নভেম্বের ২০২০/এমএম


এই বিভাগের আরও সংবাদ