Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: পড়াশোনার জন্য কোন সময় ভালো; এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকও। শিশুদের লেখাপড়া বা হোমওয়ার্কের উত্তম সময় হলো সকালবেলা। আবার পড়া ভালো মুখস্ত বা হৃদয়স্থ হয় খানিকটা খালি পেটে। সব সময় ঠাসা উদর পূর্তি করে খেয়ে পড়তে বসলে, পড়া তেমন মনে থাকে না।বাল্যকালে বাবার সেই উপদেশ বাণী আমরা পালন করার চেষ্টা করতাম অক্ষরে অক্ষরে। বাবার সে উপদেশ ছিল সায়েন্টিফিক্যালি প্রমাণিত।

কীভাবে?

একটা পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর ঘুমের পর সকালবেলা ব্রেইন থাকে এনার্জি বা শক্তিতে ঠাসা। ফলে সকালবেলা শিশু বা শিক্ষার্থীরা, যা পড়ে খুব সহজে এবং স্বল্প সময়ে তা ব্রেইনের মেমোরি সেন্টারে (হপোক্যাম্পাস) গ্রথিত হয়।

দিনের অন্য সময়ে পড়াশোনা করলে সাধারণত তেমন একটা হয় না। তাই শিশু বা শিক্ষার্থীদের সকালবেলা পড়াশোনা বা হোমওয়ার্ক করতে উৎসাহিত এবং অভ্যাস করতে হবে।দ্বিতীয় প্রশ্ন, পড়াশোনা বা হোমওয়ার্ক কখন করা ভালো, উদরপূর্তি বা ঠেসে খাবার পর নাকি হালকা খাবার পর?

পড়াশোনা বা হোমওয়ার্ক যাই বলেন, উদরপূর্তি করে ঠেসে খেয়ে নিয়ে পড়াশোনা বা হোমওয়ার্ক করলে সেটি খুব একটা হৃদয়স্থ হয় না। এর সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা হলো– বেশি খেলে সেই খাবারকে হজম করার জন্য রক্ত সরবরাহ পাকস্থলীতে বেশি হয়।

স্বাভাবিকভাবে ব্রেইনে সে সময়ে রক্ত সরবরাহে খানিক ভাটা পড়ে। আর রক্ত সরবরাহ ভাটা পড়া মানে হলো, ব্রেইনে পুষ্টি সরবরাহে ভাটা পড়া। ফলে ঠাসা ভরা পেটের পড়াশোনা ব্রেইন ঠিকমতো ধরে রাখতে পারে না।তবে একেবারে খালি পেট বা ক্ষুধা নিয়ে পড়াশোনা করার চেয়ে হালকা খাওয়া খেয়ে নেয়া ভালো।কারণ একেবারে খালি পেট হলে ব্রেইনে গ্লুকোজ সরবরাহ কম থাকবে ফলে পড়াশোনা ঠিকমতো মেমোরাইজ না হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

আবার আমাদের বাল্যকালে অনেকে বলতো পরীক্ষার আগের রাতে ডিম খেলে নাকি পরীক্ষায় ডিম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। এ ব্যাপারটিও আসলে কুসংস্কার। তবে বদহজম যাতে না হয় সে জন্যে পরীক্ষার আগের রাতে ঢাউস করে খাওয়া দাওয়া না করাই উত্তম।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সাইকিয়াট্রিস্ট, সিলেট মেডিকেল কলেজ।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/২৭ নভেম্বের ২০২০/এমএম