Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: কানাডায় সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্বেও করোনা ভাইরাস কে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন।

উল্লেখ্য বিভিন্ন প্রদেশের স্থানীয় নীতিনির্ধারকরা একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপিত করছে। আর এই বিধিনিষেধ শুধু অফিস-আদালতেই সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিকভাবে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে স্থানীয়দের একে অপরের বাড়িতে কম যাতায়ত এবং যথাসাধ্য মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছে।

কানাডায় করোনা মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না,বরং উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ক্রমবর্ধমানহারে করোনাভাইরাস বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অনটারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, এবং কুইবেকে নাটকীয় ভাবে করনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।

অন্টারিওর বিভিন্ন সিটি ইতিমধ্যে রেড জোনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে সীমিতসংখ্যক লোকজনের চলাচল এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: থেরেসা ট্যাম কানাডিয়ানদের সতর্ক করে বলেছেন– কানাডায় যে অনুপাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে করে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন বর্তমানে প্রতিদিনের গননার তুলনায় তা দ্বিগুণেরও বেশি।

একদিকে শীতের প্রকোপ অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবুও প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন আর সুদিনের অপেক্ষায় কানাডাবাসী।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৫৪ জন, মৃত্যুবরণ  করেছেন ১১ হাজার ২৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৯৪ জন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ২০ নভেম্বের ২০২০/এমএম

 


এই বিভাগের আরও সংবাদ