আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, গতকাল বুধবার আলবার্টা প্রদেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচটি অতিরিক্ত মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ায় আলবার্টার জনস্বাস্থ্য সংস্থা সামনের সপ্তাহগুলিতে আরো বিধিনিষেধের প্রয়োজন হবে কিনা তা নির্ধারণের জন্য কোভিড-১৯ পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করছে।
আলবার্টা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা: ডিনা হিনশা বলেছেন, আলবার্টা প্রদেশে গতকাল বুধবার পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার টেস্টে প্রায় ৮ শত জনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন–এখনও অবশ্যই একটি অনুপাতের পরিমাণ রয়েছে – এটি প্রায় ৪০ শতাংশ এবং আমরা জানি না ভাইরাসটি কোথা থেকে এসেছে।
আমরা জানি যে আমাদের নিজস্ব ডেটাগুলিতে ট্রেন্ডগুলি কী এবং সেই প্রবণতাগুলি সংক্রমণ সম্পর্কিত সমস্যার সাথে মেলে যা আমরা অন্যান্য প্রদেশে দেখছি। তিনি আগামীকাল আরও দুই দিনের আপডেট দিবেন।
পাঁচটি নতুন মৃত্যুর মধ্যে দুজন ক্যালগেরির। একজন আলবার্টা হেলথ সার্ভিসের সাউথ জোনের এবং বাকি দুই জন এডমনটনের। আলবার্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ২৩০ জন, যেখানে ক্যালগেরি জোনেই ২ হাজার ৬১০ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ১৬৪ জন প্রদেশের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তন্মধ্যে ত্রিশজন রোগী নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ।অন্যদিকে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া নতুন ৪২৫ জনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করে দৈনিক রেকর্ড স্থাপন করেছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: বনি হেনরি বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে ব্রিটিশ কলম্বিয়া তে কোনো নতুন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি, তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৩ হাজার ৩ শত ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে যা আজ অবধি সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নিবিড় পরিচর্যায় ২৪ জনসহ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৭ জন রোগী। উল্লেখ্য সর্বপ্রথম কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়াতেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
অন্যদিকে কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: থেরেসা ট্যাম বলেছেন- মাস্কের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ থেকে রেহায় পাওয়া যায় এটি প্রমাণিত। তিনি ফাঁকা জায়গা ছাড়া সকল স্থানে কানাডিয়ানদের মাস্ক পরার আহ্বান জানান। ডা. থেরেসা ট্যাম শীত মৌসুমে করোনার বিস্তার বাড়তে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন।
তিনি করোনার বিস্তার রোধে শীতকালে বাড়ির অভ্যন্তরেই বেশি সময় কাটানোর আহ্বান জানিয়ে তিন স্তরের নন-মেডিকেল মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। মঙ্গলবার অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, কানাডায় সবকিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না,বরং উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৩৮ জন, মূত্যবরন করেছেন ১০ হাজার ৩ শত ৮১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৯৯৮ জন।
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০৬ নভেম্বের ২০২০/এমএম





