Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত খুলে দেয়ার মেয়াদ আরও একমাস বাড়ানো হয়েছে।করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালীন এই মুহূর্তে ২১ অক্টোবর মার্কিন সীমান্তকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে বন্ধ রাখার চুক্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে কানাডা।

কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার শুক্রবার বলেছেন, কানাডিয়ানদের নিরাপদ রাখতে সর্বোত্তম জনস্বাস্থ্যের পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তটি অব্যাহত রাখবে সরকার।

বিচক্ষণতার সাথে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাটি মার্চ মাসে প্রথম চালু হয়েছিল এবং এর পর থেকে প্রতি মাসে বাড়ানো হয়েছে। কোভিড-১৯ শুরুর প্রাক্কালে প্রথম এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষিত হয়েছিল গত ১৮ ই মার্চ এবং তখন থেকেই প্রতি মাসে কানাডিয়াদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বাড়ানো হয়েছে।

জরুরী সেবা কাজে নিয়োজিত যেমন-স্বাস্থ্যসেবা, এয়ারলাইন ক্রু এবং ট্রাক ড্রাইভারদের মতো প্রয়োজনীয় আন্তঃসীমান্ত কর্মীদের এখনও বর্ডার পার হওয়ার অনুমতি রয়েছে। ট্রাক চালকরা ঝুঁকি জনিত অবস্থায় রয়েছে কারন তারা উভয় দিকে খাদ্য এবং চিকিৎসার পণ্যগুলি আনা-নেওয়ার কাজে নিয়োজিত।কানাডার বেশিরভাগ খাদ্য আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে।

অনেক কানাডিয়ান শঙ্কায় ছিলেন যে কখন এটি আবার পুনরায় চালু হবে। আশঙ্কা থাকার কারণ একারণেই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড -১৯ বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় বেশি এবং মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বেশি।কানাডায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুক্রবার কানাডার বৃহত্তম প্রদেশ অন্টারিওতে ৪০১ টি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

আজ অবধি এখন পর্যন্ত কানাডায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৭৪ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে এবং ৯ হাজার২১১ জন মারা গেছে, এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ১৮৭ জন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করোণা আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা করে বর্ডার খুলে দেয়ার মেয়াদ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তকে কানাডিয়ানরা সময় উপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। স্থানীয় নীতিনির্ধারক ও বিশ্লেষকেরা মনে করেন বৈশ্বিক মহামারীর এই সময়ে দুই দেশের কথা চিন্তা করে বর্ডার খুলে দেয়া ঠিক হবে না।

উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মোঃ মাহমুদ হাসান এর মতে, জননিরাপত্তা মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার করোনা মোকাবিলায় সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা বর্ধিতকরনের বিষয়ে যা বলেছেন, এটিই প্রমান করে কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে কানাডা সব সময়ই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানকেই সবসময় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।

শুরু থেকেই জাস্টিন ট্রুডো এবং তার সরকার এই বিশ্ব মহামারী মোকাবেলায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তা সর্ব মহলেই প্রশংসিত হয়ে আসছে, দেশটির জনগন ও তার প্রতিটি পদক্ষেপকেই অভিনন্দন জানিয়েছে।

জনস্বাস্থ্যর পাশাপাশি পারিবারিক অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা ও ব্যবসা বানিজ্যের সুরক্ষায় এই সরকার দূর্যোগ মোকাবেলার যে দৃষ্টান্ত স্তাপন করেছে, তা যে কোন দেশের সরকারের জন্য ই অনুকরণীয় হতে পারে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০/এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ