আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: বৈশ্বিক মহামারীর করোনাভাইরাস কানাডায় দিন দিন বেড়েই চলেছে। কানাডায় সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় এরপর প্রভিন্স টি কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। অন্যদিকে পুরো কানাডায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রায় শুরু থেকেই নানা ধরনের সতর্কমূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হলেও এর বিস্তার এখনো কমেনি।
কানাডায় করোনা প্রথমেই হানা দেয় প্রধানমন্ত্রীর ঘরে এবং আক্রান্ত করে ফার্স্ট লেডিকে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো করোনাকে মোকাবেলা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। নানা প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি হাতে নিলেও করোনা নির্মূল করা সম্ভব হয়নি।সম্প্রতি কানাডার কোভিড-১৯ সংক্রমণ ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অন্টারিও তে গত দুই মাসের মধ্যে এই প্রথম ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবার, প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা করোনভাইরাসে আক্রান্ত ২১৩ নতুন রোগীর লগইন করেছেন।শুক্রবার কুইবেক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ২১৯টি নতুন রোগীর খবর দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় কোনও মৃত্যু ঘটেনি।
ম্যানিটোবায় শুক্রবার ১৫ টি নতুন রোগীর শনাক্ত এর ঘোষণা করেছে, সক্রিয় কোভিড- ১৯ শনাক্তের মোট সংখ্যা ২৮৭ তে দাঁড়িয়েছে।সাসকাচোয়ানে শুক্রবার ১৩ টি নতুন রোগীর শনাক্ত এর পাশাপাশি পাঁচটি নতুন রোগীর পুনরুদ্ধারের বিষয়টি জানিয়েছে।
আলবার্তায় শুক্রবার নতুন ১১১ টি করোনা রোগীর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কোভিড-১৯ এর ফলে একজনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছেন, তবে পূর্বের মৃত্যুর পুনর্গঠিত হওয়ার কারণে আলবার্তায় মৃতের সংখ্যা ২৫৩ এ রয়ে গেছে।ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শুক্রবার কোভিড-১৯ এর ১৩২ টি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে কানাডায় প্রতিটি প্রদেশে স্কুল খুলে যাওযায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে অভিভাবকরা। ইতিমধ্যে অটোয়ার পাঁচটি স্কুলে একাধিক ব্যক্তির শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্তের পর সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। পাঁচটি স্কুলে ১৯০ জন শিক্ষার্থী ও প্রায় ১০ জন শিক্ষককে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অটোয়ার মেডিকেল অফিসার অফ হেলথ ডা. ভেরা এটছেস বলেছেন, অটোয়া পাবলিক হেলথ- এর পরামর্শে বাসায় যাতায়াত করা সকলকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং তাদের উপসর্গ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর পর স্কুলগুলোর শিক্ষার্থী বা কর্মীদের মধ্যে এটিই প্রথম আইসোলেশনের ঘটনা।
অটোয়া পাবলিক হেল্থ জানায়, কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। কেবল একজন সংক্রমিত হয়েছে এমনটি প্রমাণ হলেই স্কুলে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হবে।উল্লেখ্য সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কানাডায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৬ জন, মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ১৬৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১লাখ ১৯ হাজার ৬৭৪ জন।
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০/এমএম





