আহসান রাজীব বুলবুল প্রধান সম্পাদক :: কানাডার আলবার্টা প্রদেশের অভিভাবকেরা প্রদেশের স্কুল পুনরায় খোলার পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলেছেন বাচ্চাদের স্কুলে ফেরা এখনো নিরাপদ নয়। তারা সরকারকে এ সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের জন্য চাপ দিবেন।
“ওয়াল অফ আলবার্টা মামস ও ড্যাডস” নামে অভিভাবকদের একটি গ্রুপ সন্তানদের স্কুলে ফেরায় তাদের অনুভূতি সরকারকে জানিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে।
কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ জানিয়েছে, আয়োজক ডেভিড গ্রে বলেছেন, এটি এমন একটি অলস প্রতিক্রিয়া যা স্কুলে বাচ্চার সাথে যে কোনও শিক্ষকের সাথে পুরোপুরি প্রমত্ত হতে পারে । আমাদের উদ্দেশ্য হলো সঠিক কাজটি করার জন্য এবং আমাদের বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য এই সরকারকে চাপ দেওয়া।
গ্রে বলেন- তার প্রয়াত স্ত্রী জুনিয়র হাই স্কুলে ৩০ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছিলন। এই ত্রিশ বছরে প্রতি বছর তিনি
একটি নতুন ঠান্ডা, ফ্লু এবং নিউমোনিয়া নিয়ে বাড়িতে আসতেন, তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়ের ভিতরে বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখার কোনও উপায় নেই।
গ্রুপটির সহ-সংগঠক ড্যাফনে সিমকিনের হাইস্কুলে পড়ুয়া দুটি শিশু রয়েছে, উভয়ের ই রয়েছে স্বাস্থ্যগত সমস্যা। তিনি বলেন-আমি শিশুদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার ধারণাটিতে শতভাগ একমত, তবে কেবল নিরাপদ পরিবেশে।গ্রুপটি বলেছে যে তারা তাদের উদ্বেগের বিষয় সকলকে জানাতে সমস্ত সামাজিক মিডিয়া চ্যানেলগুলি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে।
গ্রে বলেছেন, আমরা সরকারকে জানতে চাই যে কয়েক লক্ষ বাবা-মা চিঠি লিখতে, ইমেল লিখতে, এম,এল,এ ও মন্ত্রীদের ফোন করতে এবং আমাদের বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য রাস্তায় নেমে যেতে ইচ্ছুক রয়েছেন।
এ বিষয়ে সিমকিন আরো বলেন, আমি মনে করি বিষয়টি এখন আলবার্টায় সমস্ত পরিবারের সাথে খুব গভীরভাবে অনুরণিত হচ্ছে।গ্রুপটি সরকারকে ক্লাসের আকার হ্রাস এবং ব্যয় বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।গ্রে বলেছেন, আমি বাবা-মা হিসাবে যার যার সাথে কথা বলেছি সবাই এ সম্পর্কে একেবারে শঙ্কিত।
এই সপ্তাহের শুরুতে আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনি বিদ্যালয় ফেরার পরিকল্পনায় অবিচল থেকে বলেছেন প্রয়োজনে স্কুল বোর্ডগুলি তাদের রিজার্ভ তহবিল ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।অপরদিকে স্কুলে ফেরার সরকারের সিদ্ধান্তের পরিকল্পনায়
প্রবাসী বাঙালি অভিভাবকরাও শঙ্কিত রয়েছেন। কেউ কেউ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে তাদের সন্তানদের স্কুলে দেয়ার পরিবর্তে ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস করাবেন।
আলবার্টার ক্যালগেরিতে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালি মাহমুদ হাসান দিপু বললেন, বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কিত রয়েছি। আমি মনে করি এ ব্যাপারে সরকার কে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন বাচ্চারা কতটা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সেটাই ভাববার বিষয়।
আলবার্টার ক্যালগেরিতে বসবাসরত টমবেকার ক্যানসার সেন্টারের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর আহমেদ হোসেন শাহিন বললেন- এ বিষয়ে এখনো আমরা শঙ্কিত। আমি মনে করি সরকার কে এ বিষয়ে অভিভাবকদের সাথে পরামর্শ করে কি করলে আমাদের সন্তানরা আরো সুরক্ষিত থাকবে তার পদক্ষেপ নিতে হবে।
উল্লেখ্য বৈস্মিক মহামারীর করোনা শুরুর প্রাক্কালে গত মার্চ মাসে আলবার্টার সকল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আলবার্টায় ইতিমধ্যে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি ও মেনে চলা হচ্ছে। তবে স্কুল খোলার পরিকল্পনায় অভিভাবকরা এখনো উদ্বিগ্ন রয়েছেন।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০৪ আগস্ট ২০২০/এমএম





