আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, বাংলা নিউজ :: কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত সমগ্রজাতি। একদিকে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সুসংবাদ আর অন্যদিকে এর মোকাবিলায় আমাদের স্বাস্থ্য খাত সহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের পরিকল্পনা ।এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সামনে রেখেই পুরো স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার এখনই সময়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রয়েছে অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল। অবকাঠামো আছে, যন্ত্রপাতি আছে, ওষুধ পথ্যের সরবরাহ আছে নিয়মিত, আছে চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী; শুধু নেই কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা।
দেশের স্বাস্থ্য খাতের সব অংশেই পচন। নিয়োগ-পদায়ন ব্যবস্থা, কেনাকাটা, পেশাগত আচরণ, দক্ষতা, পেশা দারিত্ব সব জায়গায় অনিয়ম। এই মুহূর্তে প্রয়োজন পরিকল্পনামাফিক সংস্কার আর কাঠামোগত পরিবর্তন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়।একদিকে দেশীয় ভাবমূর্তি আর অন্যদিকে স্বাস্থ্য খাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন এখন সময়ের দাবি।
বিশ্বব্যাপী মহামারীতে মানুষের ব্যয় এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন খাতে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা । ওষুধ শিল্পখাতেও জরুরি ওষুধের অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে এবং নতুন ঔষধ সরবরাহের লক্ষ্যে কোম্পানী গুলো করছে একের পরএক পরিকল্পনা।
আর এই লক্ষ্যে কানাডার ক্যালগেরির টমবেকার ক্যানসার সেন্টারের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর এবং আর এক্স মীমস এর পরিচালক আহমেদ হোসেন শাহিনের সঞ্চালনায় “কোভিড-১৯ ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিকে কি মেসেজ দিল” এর উপর ভিত্তি করে কানাডার ক্যালগেরিতে আগামী ২৫ শে জুলাই শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা এবং কানাডার সময় শনিবার সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক ভার্চুয়াল আলোচনা।
আলোচনায় অংশগ্রহন করবেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির রেসপিরেটরি বিভাগের প্রধান প্রফেসার এ কে এম মোশাররাফ হোসেন, কার্ডিওলজিসট ডা: মিজানুর রহমান, পপুলার ফার্মার ডেপুটি জেনেরাল ম্যানেজার দীপক কুমার সাহা, টীমফার্মার ডিরেক্টর মারকেটিং মো: আমিনুল ইসলাম, গ্লোব ফার্মার চীফ মারকেটিং অফিসার হুমায়ুন কবির, জেসন ফার্মারম্যানেজার মো: মকবুল হোসেন, এশিয়াটিক ফার্মার হেড অব মার্কেটিং মো: মাসুম চৌধুরী, মুন্ডি ফার্মার অ্যাসিসট্যানট জেনেরালম্যানেজার এবং সেল্স জামিল উদ্দীন মোজমাদার, জিসকা ফার্মার জেনারেল ম্যানেজার এবং সেল্স ইফতেখাইরুল আলম, কুমুদুনি ফার্মার জেনারেল ম্যানেজার গোলাম জীলানি এবং এলকো ফার্মার ম্যানেজার মো: আবদুর রব।
আয়োজক কানাডার ক্যালগেরির টম বেকার ক্যানসার সেন্টারের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর এবং আর এক্স মীমস এর পরিচালক আহমেদ হোসেন শাহিন বললেন–খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় আমরা পার করছি। এ সময়ে সচেতনতার সাথে আমাদের ওষুধ শিল্পকে যেমন প্রস্তুত থাকতে হবে তেমনি পিপল ম্যানেজমেন্টকেও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে—আরএই বিষয়গুলি উঠে আসবে আমাদের আগামী ভার্চুয়াল আলোচনাতে। তিনি আরো বলেন
যে ঝুঁকির সাথে ফার্মা এক্সিকিউটিভরা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এবং তাদের কার্যক্রম সচল রাখতে কোভিড -১৯এর ভ্যাকসিন, অ্যান্টিভাইরাল বা অন্যান্য থেরাপিউটিক সমাধানের জন্য এগিয়ে চলেছেন তা-ও উঠে আসবে ভার্চুয়ালআলোচনাতে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২২ জুলাই ২০২০/এমএম





