Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, বাংলা নিউজ :: বৈশ্বিক করোনা থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চলছে সংক্রমণের উপায় এবং গবেষণা। এখন পর্যন্ত সফলতা নিয়ে আসতে পারেনি কোন প্রতিষ্ঠান। কানাডায় মাত্র এক ঘন্টায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের টেস্টের ফলাফল দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন একটি টেস্টিং কিট উদ্ভাবন করেছে কানাডা গুয়েল্ফের ’প্রিসিশন বায়োমনিটরিং’। কোম্পানির এই টেস্টিং কিটটি সহজে বহনযোগ্য এবং ল্যাবরেটিরি টেস্টের মতোই সঠিক ফলাফল দেয় বলে কোম্পানিটি দাবি করেছে।

এর আগে অটোয়ার স্পার্টার্ন বায়োসায়েন্স এর সহজে বহনযোগ্য রেপিড টেস্টিং কিটকে অনুমোদন দেয় হেলথ কানাডা। সেটি এখন ফেডারেল সরকার ব্যবহার শুরু করেছে। দুটি কোম্পানিই কোভিড-১৯ শণাক্তরনের জন্য সোয়াব নিয়ে পরীক্ষা চালায়।তবে বিটিএনএক্স নামে আপর একটি কোম্পানির টেস্টিং কিটকে হেলথ কানাডা অনুমোদন দেয়নি। এই কোম্পানিটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শণাক্ত করে। কানাডা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শণাক্তে রক্ত পরীক্ষাকে এখন পর্যন্ত উৎসাহ দিচ্ছে না। ’প্রিসিশন বায়োমনিটরিং’ জানায়, ফেডারেল সরকার তাদের উৎপাদিত সকল টেস্টিং কিট কিনে নিতে লিখিতভাবে লেটার অব ইনটেন্ট দিয়েছে। কোম্পানিটি হেলথ কানাডার অনুমোদন পেলেই তারা কিট উৎপাদন শুরু করবে। দেশের উত্তর জনপদের মানুষের জন্য এই টেস্টিং কিট ব্যবহৃত হবে বলে কোম্পানিটি জানায়।

প্রিসিশন বায়োমনিটরিং এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের এই কিটটি এক ধরনের ‘ব্রিফকেস ল্যাবরেটরি’। ব্যাটারি চালিত কয়েক পাউন্ডের এই ডিভাইসটি ব্রিফকেসে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেয়া যায় এবং ভাইরাসের টেস্ট করা যায়। ৬০ মিনিটের মধ্যেই টেস্টের ফলাফল পা্ওয়া যায় এই কিটে।

কোম্পানিটির ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, গত চার বছর ধরে কৃষি খামার এবং প্রাণীদেহে বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমন চিহ্নিতকরণ নিয়ে কাজ করছে কোম্পানিটি। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে তারা কোভিড-১৯ এর কিট এর ব্যাপারে আগহী হয়। অন্টারিও এবং ম্যানিটোবার অন্যান্য গবেষনা প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তারা কোভিড-১৯ এর টেস্টিং কিট নিয়ে কাজ শুরু করে। কোভিড-১৯ এর ডিএনএ চিহ্নিত ও আলাদা করেছে যে গবেষক দলটি তাদেরও সম্পৃক্ত করে তারা।মার্চ মাসের শেষের দিকে তারা কিটটি নিয়ে পরীক্ষা চালানোর অনুমোদন চায়।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, নতুন এই টেস্টিং কিটের ফলাফল সম্পর্কে তারা আস্থাশীল। হেলথ কানাডার অনুমোদন পেলেই তারা কিট উৎপাদন শুরু করবে এবং সরকারকে সরবরাহ শুরু করবে।সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক কানাডায় করোনায় মোট আক্রান্ত একান্ন হাজার পাঁচশতছিয়ানব্বই জন আর সুস্থ হয়েছে বিশ হাজার ৩২৭ এবং মারা গেছে প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে ক্যুইবেক মৃত্যু হয়েছে সব চেয়ে বেশি।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ৩০ এপ্রিল ২০২০/এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ