Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, বাংলা নিউজ :: বৈশ্বিক মহামারির করোনা কালীন এই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তাল মিলিয়ে কানাডায় ও হুহু করে করনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতদসত্ত্বেও ব্যক্তিগত দুরত্ব অনুসরণ সহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিধি নিষেধ কখন এবং কিভাবে শিথিল করা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে কানাডার বিভিন্ন প্রভিন্স ও টেরিটরির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা । তারা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কর্ম পরিকল্পনা তৈরির করছেন বলে জানানো হয়েছে।

তবে বিভিন্ন প্রভিন্সের রাজনৈতিক নেতৃত্বও অর্থনীতির চাকা ঘুরতে দেয়ার বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে সাসকাচুয়ান, বৃটিশ কলম্বিয়া তাদের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছে। অন্টারিও একটি গাইডলাইন তৈরির জন্য অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছে।কানাডার জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা থেরেসা ট্যাম বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, কোভিড-১৯ বিষয়ক বিশেষ কমিটি স্বাস্থ্য বিধিমালা শিথিল করার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নির্দেশনা তৈরির কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, অর্থনীতির চাকা খুলে দেয়া বা স্বাস্থ্য বিধির শর্তাবলী শিথিল করার ক্ষেত্রে কি পরিমান লোক নতুন আক্রান্ত হচ্ছে, কতোজন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, ভাইরাস কতো দ্রুত ছড়াচ্ছে- এসব বিবেচনায় নেয়া হবে।অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিস্কারের বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ভিন্ন ধরনের কৌশল নিয়ে এগিয়ে এসেছে কানাডীয়ান কোম্পানি স্যানোটাইজ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।

গবেষকরা যেখানে ভ্যাকসিন, ওষুধ বা অন্যান্য থেরাপি নিয়ে কাজ করছে, এই কোম্পানিটি চেষ্টা করছে নাকের মধ্যে স্প্রের মাধমে গ্যাস ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণকে রুখে দিতে।কানাডার নিয়ন্ত্রক সংস্থা হেলথ কানাডা তাদের এই স্প্রের ক্লিনিকেল টেস্ট করার অনুমতি দিয়েছে। কোম্পানিটি বলছে, তাদের ক্রিনিক্যাল টেস্ট সফল হলে সরাসরি বাজারজাত করার জন্য অনুমতি চাইবে।

বুধবার এক ঘোষনায় কোম্পানিটি দাবি করেছে, তারা উথাহ স্টেট ইউনিভার্সিটির ইন্সটিটিউট ফর এন্টি ভাইরাল রিসার্চ ল্যারেটরিতে এই পদ্ধতি নিয়ে গবেষনা করেছে। তাতে দেখা গেছে এই সলিউশন প্রয়োগে কোভিট-১৯ সংক্রমণের মূল যে ভাইরাস সেটিকে মাত্র ২ মিনিটে ৯৯.৯৯ শতাংশ নির্মুল করা যায়।কোম্পানিটি আশা করছে ক্লিনিক্যাল টেস্টেও তারা একই রকম ফলাফল পাবেন।

কোম্পানিটি তাদের ল্যাবরেটরিতে তরল একটি সলিউশন তৈরি করেছেন যেটি স্প্রের মাধ্যমে নাকে স্প্রে করা সহ নানাভাবেই ব্যবহার করা যাবে বলে তারা জানিয়েছে।কোম্পানির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ক্রিস মিলার বলেছেন, আমরা যতো দ্রুত সম্ভব এর পরীক্ষ নিরীক্ষা শেষ করতে চাই যাতে দেশের অর্থনীতির চাকা খুলে দেয়ার সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে।আগামী সপ্তাহ থেকেই তারা এই ক্রিনিক্যাল টেস্ট শুরু করবে বলে জানিয়েছে।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৪ এপ্রিল ২০২০/এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ