Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, বাংলা নিউজ :: মাত্র ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে টরন্টোতে দু ’ জন প্রবাসী করােনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।কানাডার টরন্টোতে করােনায় আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন মাে. শওকত আলী। তিনি তাজপুর ডিগ্রী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং জালালাবাদ এসােসিয়েশন অব টরন্টোর উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ কানাডার টরন্টো ইষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহ হি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন)। শওকত আলী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং সিলেট তাজপুর ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ ছিলেন । তার মুত্যুতে প্রবাসীদের মধ্যে শােকের ছায়া নেমে আসে। তিনি টরন্টো প্রবাসীদের কাছে অত্যন্ত বিনয়ী, সদা হাস্যোজ্জ্বল, বন্ধুবৎসল এবং ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বর্তমানে অবসর নিয়ে স্ত্রী, কন্যা এবং পুত্র নিয়ে সপরিবারে স্থায়ীভাবে কানাডার টরন্টোতে বসবাস করে আসছিলেন।

মাত্র ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে টরন্টোতে দু’জন প্রবাসী করােনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। কানাডার টরন্টো ও অটোয়াতে এ নিয়ে করােনা ভাইরাসে ৬ জনের মৃত্য ঘটেছে এর মধ্যে ৫ জনই টরন্টোতে এবং একজন অটোয়াতে।উল্লেখ্য, ইতােপূর্বে অটোয়ায় গত ৪ এপ্রিল শরিয়তুল্লাহ, ৫ এপ্রিল টরন্টোতে বীর। মুক্তিযোদ্ধা হাজী তুতিউর রহমান, ১০ এপ্রিল ওমর শেখ ও জামাল আলী, ১৭ এপ্রিল বীর মুক্তিযােদ্ধা। এডভােকেট সালাম শরিফ এই মরণঘাতী ভাইরাসে মারা যান। মাে. শওকত আলী ৬ষ্ট বাংলাদেশি, যিনি করােনা। আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। এছাড়া আক্রান্ত আরাে বেশ কয়েকজন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন এর মধ্যে টরন্টোতে। দু’জন এবং মন্ট্রিয়লে দু’জন। মন্ট্রিয়লে দু’জন স্বাস্থ্য কর্মী করােনা ভাইরাসে অসুস্থ রয়েছেন তন্মেধ্যে শিল্পী দেব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তবে তাঁর উন্নতি হচ্ছে বলে হাসপাতাল এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে। লিপি ধর নামে আরেকজন স্বাস্থ্য কর্মী হােম আইসােলেশনে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। এভাবে একের পর বাংলাদেশিদের মৃত্যুতে প্রবাসীরা আতংক এবং উদ্বিগ্নে রয়েছেন।

সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সচেতনামূলক কর্মসূচি নেয়া সত্ত্বেও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সপ্তাহে মৃত্যুর হার ছিল ৮% শতাংশ। এখন তা বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশে। এদের মধ্যে বৃদ্ধাশ্রমের লোক সংখ্যা ৭০ শতাংশ।সব চেয়ে বেশি কুইবেক সিটিতে ৬৩০ জন মারা গেছেন। এরপর রয়েছে অন্টারিও প্রভিন্সে ৪৭৮ জন। তবে নোনাভাট এখনো করোনা মুক্ত প্রদেশ!এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কানাডায় ৩৩২১৮ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১৪৬৯জন আর সেরে উঠেছেন ১১,১৬৮ জন।উল্লেখ্য, কানাডা করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে বিশ্বে তেরোতম স্থানে রয়েছে।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১৯ এপ্রিল ২০২০/এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ