আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, বাংলা নিউজ :: কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কানাডায় এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ১৪৮ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, ৫৬৯ মারা গেছেন, আর ৬ হাজার ১৩ জন সেরে উঠেছেন। কানাডার আলবার্টার এডমেনটন, টরন্টো, মন্ট্রিয়ল এবং ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় প্রবাসী বাঙ্গালীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত তিনজন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুজন টরোন্টো এবং একজন অটোয়াতে।
কানাডার টরন্টোতে আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটার দিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জামাল আলী নামের আরেক বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি গত এক সপ্তাহ ধরে টরন্টো জেনারেল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মারা যান। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জামাল সিলেটের বিশ্বনাথ এলাকার অধিবাসী। তিন বছর বয়সে তিনি কানাডায় আসেন। তার বয়স হয়েছিলো ৪৫ বছর। তিনি দশ বছরের এক ছেলে, স্ত্রী এবং আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব রেখে যান। জামাল একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি টরন্টোয় পরিচিত মুখ ছিলেন। বিভিন্ন সংগঠনের সাথেও জড়িত ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কানাডা প্রবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ নিয়ে কানাডায় এ পর্যন্ত ৩ জন বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, কানাডায় প্রায় এক লাখ বাংলাদেশিদের বসবাস। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কানাডার রাজধানী শহর অটোয়ায় গত ৪ এপ্রিল মারা গেছেন প্রথম বাংলাদেশি শরিয়ত উল্লাহ (৫৫)। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি কানাডিয়ান নাগরিক, যিনি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর গত ৫ এপ্রিল টরোন্টোতে মারা গেলেন মুক্তিযোদ্ধা তুতিউর রহমান।
বর্তমানে টরেন্ট্রো এবং মন্ট্রিলে বেশ কয়েকজন বাঙালি আইসিইউতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। পুরো কানাডায় হু হু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের পাশাপাশি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দিন দিন বেড়েই চলছে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১১ এপ্রিল ২০২০/এমএম





