আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, বাংলা নিউজ :: কানাডায় এখন পর্যন্ত ১৫,৫১২ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৮০ জন আর সেরে উঠেছেন ২৯৪২ জন। কানাডার আলবার্টার এডমেনটন, টরন্টো, মন্ট্রিয়ল এবং ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় প্রবাসী বাঙ্গালীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে টরন্টোতে এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।অন্যদিকে বাংলাদেশ হাই কমিশন অটোয়া এবং বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল, টরেন্টো কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে যা বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সবার বিশেষ সাহায্যে আসবে।
অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন ও টরেন্টোর কনস্যুলেট জেনারেলের যৌথ উদ্যোগে গতকাল কানাডায় বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত বাংলাদেশী-কানাডিয়ান ডাক্তার এবং বাংলাদেশের মেডিক্যাল গ্রাজুয়েটদের সমন্বয়ে একটি ‘Doctors Pool’ গঠন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এবং নন-ইমারজেন্সি মেডিক্যাল পরামর্শের জন্য ইস্যুকৃত নোটিসে প্রদত্ত ফোন নাম্বার ও ইমেইলে যোগাযোগ করলে, হাইকমিশন এবং কনসুলেটের মনোনীত কর্মকর্তা সরাসরি পুলভুক্ত ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজন অনুসারে পরামর্শ নিতে সাহায্য করবেন। এছাড়া কানাডায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য বিশেষ ইমেইল ও হটলাইন নাম্বার খোলা হয়েছে যার মাধ্যমে ছাত্ররা প্রয়োজনে কনসুলেটের সাথে দ্রুত সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন। গতকাল সারাদিন কনসাল জনাব নাঈম উদ্দিন আহমেদ ‘Doctors Pool’ গঠনের বিষয়টি সমন্বয় করেন।
উল্লেখ্য যে, টরেন্টো বাংলাদেশ কনসুলেট এখন ডিজিটালাইজড কনসুলার সেবা দিতে সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং শুধুমাত্র অনলাইন ফর্ম পূরণের মাধ্যমেই সহজে প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়া যাচ্ছে। তাই কনসুলেটে না যেয়ে, বাসায় নিরাপদে অবস্থান করেই এখন কনসুলেটের সেবা পাওয়া সম্ভব।
কানাডার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে হট লাইন চালু করেছে টরন্টোয় বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস।৬৪৭-৮১২-২৭৯৪ নম্বরে ফোন করে শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।studentshelp@cgtoronto.ca ঠিকানায় ইমেইলেও যোগাযোগ করা যাবে।বাংলাদেশ কনস্যুলেটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিমানবন্দরগুলো ফাঁকা, বাস-ট্রেনে লোক নেই, গাড়ীর দেশ কানাডার রাস্তায় হাতেগোনা দুচারখানা গাড়ী, বিশাল সব শপিং মলগুলো কোথাও কোথাও খোলা থাকলেও খরিদ্দারের আনাগোনা নেই মোটেই। ব্যবসায়িক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক সব ধরনের সমাবেশ বন্ধ। আমেরিকার সাথে বর্ডার বন্ধ করে দিয়েছে ফেডারেল সরকার। দেশটির সব থেকে বড় এবং ব্যস্ততম শহর টরন্টো যেন এক মৃত নগরী, পর্যটকদের পদধ্বনি শোনা যায় না। চারিদিকে শুধু নীরবতা।
কানাডায় প্রবাসী বাঙালিরা একে অপরের সহযোগিতা এগিয়ে আসছে। কমিউনিটি লিডাররা খবর নিচ্ছেন, ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সচেতন করছেন সবাইকে। ক্যালগেরির কিছু কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় গ্রোসারির ষ্টলগুলো ব্যস্ত রয়েছে প্রবাসী বাঙ্গালীদের ঘরে ডেলিভারি অর্ডার পৌঁছে দিতে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০৬ এপ্রিল ২০২০/এমএম
