Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, বাংলা নিউজ :: কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশন বাংলাদেশের জাতির জনক ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশদ ও বিভিন্ন ধরনের বছরব্যাপী কার্যক্রম গ্রহণ করে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে প্রাদুর্ভাবের কারনে বিশদ ও বিভিন্ন ধরনের বছরব্যাপী কর্মসূচি বাতিলপূর্বক সীমিত আকারে অত্র হাইকমিশন প্রাঙ্গনে ১৭ মার্চ দিনটি উদযাপন করা হয়।

দিবসের শুরুতেই সকাল ৯.০০ ঘটিকায় মান্যবর হাইকমিশনার মহোদয় বাংলাদেশ ভবনে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিক ভাবে উত্তোলন করেন। এসময় হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এরপর অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূত্রপাত হয়। এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালক হিসাবে অত্র মিশনের প্রথম সচিব মিস অর্পনা রানী পাল পরিচালনা করেন। মান্যবর হাইকমিশনার মহোদয়, হাই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশীগন এ উৎসবে যোগ দেন। এ দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে জনাব চিরঞ্চীব সরকার, উপ-হাইকমিশনার, জনাব মিয়া মোঃ মাইনুল কবীর, মিনিস্টার, জনাব মোঃ সাখা্ওয়াৎ হোসেন, কাউন্সেলর এবং জনাব দেওয়ান হোসনে আইয়ুব, কাউন্সেলর। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। উক্ত প্রামাণ্য চিত্রের পর একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ, তাঁর বর্ণিল রাজনৈতিক জীবন এবং নজিরবিহীন দেশপ্রেমের উপর বক্তারা মতামত ব্যক্ত করেন। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ যেমন জনাব কবির চৌধুরী, জনাব শরীফ ইকবাল চৌধুরী ও জনাব শাহ বাহউদ্দিন শিশির, প্রেসিডেন্ট, BACOV সহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।

আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি মান্যবর হাইকমিশনার মহোদয় বলেন যে, জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন আমাদের সকলের জন্য আনন্দের একটি মুহূর্ত। আমাদের সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবন, দেশের প্রতি তার ভালবাসা, ত্যাগ ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে।বঙ্গবন্ধুর জীবন মানে বাংলাদেশের ইতিহাস। সুতরাং বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হলে সর্বাগ্রে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল আদর্শময় জীবন সম্পর্কে জানতে হবে।‘সোনার বাংলার’ – স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের অব্যাবহিত পরে বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত দেশে তথা ‘সোনার বাংলায়’ – পরিণত করতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। কিন্তু সারে চার বছর শাসন কালে বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলায়’-এ পরিণত করতে যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন।

এ পর্যায়ে মান্যবর হাইকমিশনার মহোদয় সকলকে অবহিত করেন যে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেটের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিশেষ উদ্যোগে কানাডা সরকার তথা কানাডা ডাক বিভাগ এ স্মারক ডাক টিকেট প্রকাশ করেন। মান্যবর হাইকমিশনার মহোদয় কানাডার সরকার তথা কানাডার ডাক বিভাগকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো উল্লেখ করেন অতিসম্প্রতি অটোয়ার মান্যবর মেয়র Mr. Jim Watson ১৭ মার্চ ২০২০ কে শেখ মুজিবুর রহমান দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য যে, ১৭ মার্চকে মান্যবর মেয়র Mr. Jim Watson মুজিব দিবস ঘোষনার প্রেক্ষিতে অটোয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশের সংগঠন BACOV এর সম্পৃক্ততার বিষয়টি মান্যবর হাইকমিশনার মহোদয় প্রশংসা করেন। আরো উল্লেখ্য যে, এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিশেষ বানী প্রেরণ করেন। মান্যবর হাইকমিশনার আরো আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অটোয়ার মেয়রের ১৭ মার্চকে মুজিব দিবস ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ়, গভীর এবং নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে।অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পাঠ করা হয়। অত্র মিশনের সহকারী কনস্যুলার কর্মকর্তা জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম এ মোনাজাতটি পরিচালনা করেন। মোনাজাত শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১৯ মার্চ ২০২০ /এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ