বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: শীত মানেই খেজুর রস। তার সাথে নানা রকম শাক-সবজি আর নতুন ধানের বিপুল সম্ভারে ভরে উঠে কৃষকের গোলা। ঘরে ঘরে তৈরি হয় নানা মজাদার পিঠা। শীতের সকালে নরম রোদে পিঠ পেতে বসে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলতে পারেন মজাদার ও ভিন্ন স্বাদের পিঠাপুলি। আর এই ভিন্ন স্বাদের পিঠার রেসিপিগুলো দিয়েছেন সালমা হুদা।
মুগ ডাল পিঠা
উপকরণ: মুগ ডাল বাটা ১ কাপ (হালকা ভেজে সেদ্ধ করে বেটে নেয়া), আতপ চালের আটা ১ কাপ এর একটু বেশী, ঘি ১ চা চামচ, লবণ সামান্য, চিনি ১ কাপ, পানি পরিমাণ মত, তেল ভাজার জন্য।
প্রণালী: চালের আটা সামান্য লবণ আর ১ চা চামচ ঘি দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে, মুগ ডালের সাথে ভালো করে মিশিয়ে কাই বানিয়ে নিতে হবে। অন্য পাত্রে চিনি, এক চা চামচ ঘি আর পানি দিয়ে সিরা বানিয়ে রাখতে হবে। এবার কাই দিয়ে একটু মোটা রুটির মত বেলে চাকু দিয়ে পছন্দমত শেপে কেটে গরম তেলে মধ্যম আঁচে বাদামী করে ভেজে শিরায় ছেড়ে দিতে হবে।
বিবিখানা পিঠা
উপকরণ: চালের গুঁড়া- ২ কাপ, ডিম- ৪ টি(ফেটানো), নারিকেল- ১ কাপ (কুরানো), চিনি- ১ কাপ অথবা স্বাদমত, গুড়া দুধ- ৩/৪ কাপ, ঘি- ৩/৪ কাপ, এলাচ গুড়া-১/২ চা চামচ, পানি-১ কাপ, কিসমিস ও পেস্তা- সাজানোর জন্যে, ঘি- ১ টেবিল চামচ পাত্রে গ্লেজ করার জন্যে।
প্রণালী: চুলায় একটি পাত্র মাঝারি আঁচে গরম করে তাতে চালের গুড়া ২-৩ মিনিট ভেজে নিয়ে আর একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। কিসমিস, পেস্তা এবং ঘি বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভাল করে মেশাতে হবে। একটি বেকিং পাত্রে ১ টেবিল চামচ ঘি গ্লেজ করে তাতে মিশ্রণটা ঢালুন এবং ২০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপে ১ ঘন্টা বেক করুন। সব ওভেনের তাপ এক হয় না তাই পিঠা হয়েছে কিনা বুঝতে একটি ছুরির মাথা ঢুকিয়ে এবং বের করতে হবে। যদি ছুরিতে কিছু লেগে না থাকে, বুঝতে হবে পিঠা হয়ে গেছে আর যদি তা না হয় তাহলে, আর ৫-১০ মিনিট বেক করে আবার চেক করতে হবে। পিঠা হয়ে গেলে নামিয়ে ইচ্ছেমত আকারে কেটে পেস্তা ও কিসমিস ছড়িয়ে পরিবেশন করা যায়।
খেজুর পিঠা
উপকরণ: সুজি – ১ কাপ ময়দা – ১/২ কাপ ডিম – ১ চিনি – ১/৪ কাপ বা স্বাদ অনুযায়ী লবণ – ১/৮ চা চামচ ঘি/তেল – ১ টেবিল চামচ বেকিং পাউডার – ১/৪ চা চামচ গরম দুধ – ৪ টেবিল চামচ তেল – ডুবো তেলে ভাজার জন্য।
পদ্ধতি: একটি বড় পাত্রে সুজি, ময়দা, চিনি, লবণ, বেকিং পাউডার ও ঘি নিয়ে ভালো করে মিশাতে হবে। এরপর ডিম যোগ করে খামির তৈরি করতে হবে। খামির বেশি শুকনো হয়ে গেলে অল্প দুধ যোগ করে আবার মাখাতে হবে। খেয়াল করতে হবে যাতে খামির বেশি শুকনা বা বেশি নরম না হয়ে যায়। খামির বল তৈরি করার মত নরম হতে হবে। প্রয়োজন না হলে দুধ ব্যবহার করা যাবে না। খামির দিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করতে হবে। এখন একটি বল নিয়ে ডিমের মত আকার আনতে হবে। তারপর এটি একটি ছাকনির উপর ছড়িয়ে দিতে হবে আর এক প্রান্ত থেকে ভাঁজ দেয়া শুরু করতে হবে। আর অন্য প্রান্তে না যাওয়া পর্যন্ত ভাঁজ দিতে হবে। একইভাবে অন্য পিঠাগুলো বানাতে হবে। এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করতে হবে। তেল গরম হলে এতে ৩-৪ টা পিঠা দিয়ে পিঠার সবদিকে কড়া বাদামী রং না আসা পর্যন্ত আস্তে আস্তে ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে তেল থেকে তুলে একটি পেপার টাওয়েলে রাখতে হবে। ভাজার সময় তাড়াহুড়া না করে ধীরে সুস্থে করতে হবে, অন্যথায় পিঠার ভেতরে কাচা থেকে যেতে পারে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০২ জানুয়ারি ২০২০ /এমএম





