Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: চলতি বছর রাজধানীসহ সারা দেশে ভয়াবহ রুপ নিয়েছিল ডেঙ্গু। এখন ডেঙ্গু নেই বললেই চলে। তবে মৌসুম শেষ হলেও আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।আর তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ধীরগতি আনা যাবে না বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর-বিবিসি বাংলার।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন ও কন্ট্রোলরুমের হিসাব বলছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু সন্দেহে ২৪৮টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৭১টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১০৭টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন ও কন্ট্রোলরুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে ও বাড়ছে। তবে শীতের সময় এডিস নয়; বরং কিউলেক্স মশার সংখ্যা বেশি থাকে বলে এই মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি বাড়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।তিনি বলেন, কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও অতিরিক্ত ঝুঁকির কোনো আশঙ্কা নেই।শীতে আশঙ্কা বেশি থাকবে

শীতপ্রধান দেশ না হওয়ার কারণে বাংলাদেশে সবসময়ই এডিশ মশা তৈরির উপযুক্ত আবহাওয়া থাকে। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার জানান, নির্মাণাধীন ভবন, পানি সংকটের কারণে পানি ধরে রাখার প্রবণতাসহ নানা কারণে শীতের সময়ও মশা জন্মাবে।তাই অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা কম পরিমাণে হলেও শীতেও জন্মায় এডিস মশা।এখনও পর্যন্ত দুই শতাধিক রোগী আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ করলে তিনি বলেন, এ সময় এই সংখ্যাটি বেশ উদ্বেগজনক।তিনি আরও জানান, অন্য বছর ডিসেম্বর-নভেম্বরে রোগীর সংখ্যা ১০০ হয়নি। আর এখন একদিনেই যদি দুশর বেশি রোগী হয় তা হলে তা উদ্বেগজনক।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৯ অক্টোবর ২০১৯/এমএম


Array