Menu

আহসান রাজিব বুলবুল, কানাডা :: বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও জোর প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে আগামী একুশে অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কানাডার ৪৩ তম সাধারণ নির্বাচনের।বিভিন্ন দেশের প্রার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রবাসী বাঙালিরা ও।

আয়তনের দিক থেকে কানাডা ৯ হাজার ৯শত ৮৫ মিলিয়ন কিলোমিটার হলেও জনসংখ্যা মাত্র ৩৭ মিলিয়ন। যার রয়েছে ১০ টি প্রভিন্স এবং ৩ টি টেরিটরিজ। মাল্টিকালচারজমের দেশ হিসাবে পরিচিত কানাডার “হাউজ অব কমন্স” সংসদের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৮ টি । এককভাবে কোন সরকার গঠন করলে প্রয়োজন ১৭২ টি আসনের। কানাডার ৪৩ তম সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সর্বমোট ৬ টি দল। এর মধ্যে লিবারেল পার্টি, কনজারভেটিভ পার্টি , নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি, ব্লক কুবেকুয়া পার্টি , গ্রীন পার্টি এবং পিপলস পার্টি অফ কানাডা। ইতিমধ্যেই সারা কানাডাতে অগ্রিম ভোট শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টি ও কনজারভেটিভ পার্টি ভোটের দিক থেকে খুব কাছাকাছি অবস্থান করছেন।

লিবারেল পার্টি অফ কানাডার এমপি প্রার্থী, জগদিশ আনান্দ জানান, দলমত নির্বিশেষে আমরা সবার হয়ে কাজ করতে চাই, আর এ লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছি।নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি প্রার্থী খালিস আহমেদ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্বাস্তুদের অভিবাসনে আমরা সবার সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করব।

লেবার পার্টি অফ কানাডার এমপি প্রার্থী আফরোজা হোসেন জানান, সরকারের হয়ে আমরা কিভাবে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক অভিবাসী নিয়ে আসা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করব।সাধারণ ভোটার আলমগীর দারা ইন জানান, আমরা চাই প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী বাঙালিরা এদেশে আসুক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখুক, আর যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আমরা আরও ত্বরান্বিত ও সহজতর দেখতে চাই।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। রাস্তাঘাটে ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে পোস্টারে। অফিস-আদালত রেস্টুরেন্ট আর বাড়ীতে ফিরে সকলেরই এখন প্রধান আলাপ-আলোচনা কানাডার সাধারণ নির্বাচন এবং টিভির পর্দায় চোখ রাখা। মিডিয়াগুলোতে প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন দলের লিডারদের নিয়ে ডিবেট এর। উঠে আসছে রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মীয় এবং অভিবাসী ইসু । অফিস শেষ করে পুরো কানাডিয়ানরা এখন মিডিয়ার সামনে বসে দেখছে তাদের নিজস্ব দলগুলির অবস্থান। প্রবাসী বাঙালিরাও যোগ দিয়েছে বিভিন্ন ডিবেট গুলিতে, নিজেদের জোরালো বক্তব্যে দিয়ে তুলে ধরছেন নিজেদের অবস্থানের কথা।

কানাডার ইমিগ্রেশন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর প্রায় আড়াই লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী পাড়ি দেয় কানাডায়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কানাডার বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, জীবনের নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা ও শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থা একটি ব্যতিক্রমী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বের সকলের কাছে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদেশি অভিবাসী প্রক্রিয়া, জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা, পাইপলাইন সচল এবং ইনডজিনিয়াস ইস্যুতে যারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে তাদেরই নির্বাচনে জয়ী করা হবে এমনটাই মনে করেন কানাডার সাধারণ জনগণ এবং নির্বাচক বিশ্লেষকরা।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১৯ অক্টোবর ২০১৯/ এমএম


এই বিভাগের আরও সংবাদ