Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::  ত্বককে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিনের বিকল্প নেই। এটি অকাল বার্ধক্য, দাগ-ছোপ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ব্যবহৃত এই প্রসাধন সামগ্রী সবসময় নিরাপদ নয়। অনেক সময় অজান্তেই এটি ত্বকের জন্য নতুন সমস্যা তৈরি করতে পারে।হেলথ শটসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সানস্ক্রিন ব্যবহারে এমন কিছু অদৃশ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যা অনেকেই আগে থেকে জানেন না।
কসমেটোলজিস্ট ডা. মহনাজ জাহান বেগমের মতে, সানস্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক না হলে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে—

১) কিছু কেমিক্যাল বা সুগন্ধি-যুক্ত সানস্ক্রিন ত্বকে লালচে ভাব, জ্বালাপোড়া বা চুলকানি তৈরি করে। সংবেদনশীল ত্বকে এই প্রতিক্রিয়া দ্রুত হয়।

২) প্রচলিত উপাদান যেমন অক্সিবেনজোন বা সংরক্ষণকারী কেমিক্যাল অনেকের ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। এর ফলে র‍্যাশ, চুলকানি কিংবা ফোলা দেখা দিতে পারে।

৩) ঘন, তৈলাক্ত বা তেল-ভিত্তিক সানস্ক্রিন রোমকূপ বন্ধ করে দেয়, ফলে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেড বেড়ে যায়।

৪) অসতর্কতাবশত চোখে সানস্ক্রিন লাগলে জ্বালা, লালভাব ও অতিরিক্ত পানি পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫) বিরল ক্ষেত্রে কিছু রাসায়নিক উপাদান সূর্যের আলোতে ত্বককে আরও সংবেদনশীল করে তোলে। এতে সঠিকভাবে ব্যবহার করলেও র‍্যাশ বা সানবার্ন হতে পারে।

৬) সুগন্ধি ও অ্যালকোহলযুক্ত সানস্ক্রিন মেলানিনসমৃদ্ধ ত্বকে কালো দাগ বা মেলাজমা বাড়াতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় ফ্র্যাগরেন্স-ফ্রি ও আয়রন অক্সাইডসমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৭) সানস্ক্রিন ইউভি রশ্মি প্রতিরোধ করে, যা ত্বকের ভিটামিন ডি উৎপাদনে সহায়তা করে। তবে স্কিন ক্যানসার অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারকারীদের মধ্যে ভিটামিন ডি ঘাটতির প্রমাণ মেলেনি।

অতএব, সানস্ক্রিন ব্যবহারে ভীতি নয়, বরং সচেতনতা জরুরি। নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক সানস্ক্রিন বেছে নিলে যেমন সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়, তেমনি লুকানো ঝুঁকিও সহজে এড়ানো সম্ভব।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৫ সেপ্টেম্বর  ২০২৫ /এমএম


Array