প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: পিঠ-কোমর ও নিতম্বের যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন অনেকে।এটি অনেক সময় জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হলো— পিঠ-কোমর ও নিতম্বে যন্ত্রণা।ক্যানসার কোষ এত দ্রুত বিভাজিত হতে থাকে যে, তা মেরুদণ্ড অবধি ছড়িয়ে পড়ে। তখন পিঠ ও পেলভিক এলাকায় ব্যথা শুরু হয়। হাড় দুর্বল হতে থাকে। হাড় ভঙ্গুরও হয়ে যায়। তাই পেলভিক অঞ্চলে ব্যথা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যায়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। কিছু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া খুব জরুরি।
প্রথমেই যে পরীক্ষাটি করাতে হবে তা হলো— আলট্রা সোনোগ্রাফি। এ পরীক্ষায় প্রস্টেটের মাপ বোঝা যায় এবং এরপর ট্রান্স-রেক্টাল আন্ডার সাউন্ড টেস্ট করাতে হয়। প্রস্টেট ক্যানসার চিহ্নিত করার আরও একটি পরীক্ষা হলো ‘প্রস্টেট-স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট’। পিএসএ অ্যান্টিজেনের মাত্রা প্রতি মিলিলিটার রক্তে যদি ৪.০ ন্যানোগ্রামের বেশি হয়, তা হলে অস্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে বায়োপসি করে ক্যানসার কোষের বিভাজন হচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে।
প্রস্রাবের সময়ে জ্বালা-যন্ত্রণা বা ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ মানেই মূত্রনালির সংক্রমণ হবে, তা কিন্তু নয়। রাতের বেলা বারবার প্রস্রাবের বেগ এলে ডায়াবেটিস ভেবেও ভুল করেন অনেকেই। এসব লক্ষণ দীর্ঘ সময় ধরে দেখা দিতে থাকলে সতর্ক হতে হবে।এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, প্রস্টেট ক্যানসারের উপসর্গ সবার ক্ষেত্রে একরকম হয় না। অনেক সময়ে পিঠ-কোমর ও নিতম্বের নিদারুণ যন্ত্রণাও ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। কোন কোন উপসর্গ এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়, তা জেনে রাখা ভালো।
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেল্থ’ থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে— ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে এ ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকা আবশ্যিক। বিশেষত ৫০ পেরিয়ে গেলেও পরিবারে এই রোগের ইতিহাস থাকলে সতর্ক হতেই হবে।
বারবার প্রস্রাব পাওয়া প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। রাতে বারবার মূত্রত্যাগের প্রবণতা বেশি হয়। প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা কিংবা প্রস্রাব পেলে ঠিকভাবে মূত্রত্যাগ করতে না পারা এই রোগের আরও একটি লক্ষণ। মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা হওয়া মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা বা জ্বালা হওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বার হলে সতর্ক হতে হবে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ /এমএম