Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: আমরা এমন এক সময়ে আছি, যেখানে সবাই শুনাতে চায়। বলতে কেউই দিতে চায় না অর্থাৎ শুনতে চায় না। নিজেকে জাহির করতে অনেকে অনেক সময় বেশি কথা বলে—‘আমি এই করেছি, সেই করেছি’ আদপে এতে ব্যক্তিত্ব কমে যায়। যোগ্যতা প্রকাশ করতে কথা বলার চেয়ে শোনাই শ্রেয়।

আফসোস থেকে বাঁচবেন: যদি আজ কিছু না বলেন, কালও বলতে পারবেন। কিন্তু একবার কিছু বলা হয়ে গেলে তা আর ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। তাই কম কথা মানে আফসোসের কম কারণ।

অযথা ভুল বোঝাবুঝি হয় না: একটি প্রবাদ আছে ‘মুখ বন্ধ রাখলে লোকজন তোমাকে বোকা ভাববে; তবে কথা বললে সব সন্দেহ মিটে যায়।’ অর্থাৎ ভেবেচিন্তা কথা না বললে অন্যের কাছে বোকা হয়ে যেতে পারেন। তাই কোনো বিষয়ে জানা না থাকলে, অযথা কথা না বলাই ভালো।

কথার মূল্য কমে যায়: যারা বেশি কথা বলেন, তারা সাধারণত একই কথা বারবার বলেন, এতে কথার মূল্য কমে যায়। তাই কথার দাম রাখতে কথা কম বলা উচিত।

জ্ঞানই শক্তি: গবেষণা বলছে, যারা বেশি শোনেন, তারা বেশি তথ্য জানেন। সেই তথ্যই দীর্ঘমেয়াদে তাদের সাফল্য ও প্রগতি দেয়। তাছাড়া কম বলে বেশি শুনলে তথ্য বেশি পাওয়া যায়।

কম বললেই মানুষ শ্রদ্ধা পায়: সবাই চায় কেউ তাদের কথা মন দিয়ে শুনুক। কথা না বলে মন দিয়ে শোনা মানে তাদের মূল্য দিচ্ছেন। পৃথিবীতে বলার মানুষ বেশি, শোনার মানুষ কম। তাই কারও কথা যখন মন দিয়ে শুনবেন, দেখবেন তার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

আমাদের একটা প্রবাদ আছে, কথা হচ্ছে বন্দুকের গুলির মতো। একবার বের হলে তা আর বাগে আনা যায় না। তাই কম কথা অথবা পরিমিত কথা বলা সবার উচিত। এরমানে এই না যে প্রতিবাদ করবেন না অথবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলবেন না। মূলত যেখানে যতটুকু দরকার ততটুকুই বলতে হবে। এতে তথ্য বাড়বে, মানুষের কাছে আপনার দামও বাড়বে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৩ জুলাই ২০২৫ /এমএম


Array