Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: কাজের ব্যস্ততায় হোক অথবা ঘুরতে গিয়ে, স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্পের থেকে জাঙ্ক ফুড খাওয়াই পছন্দ করেন অনেকে। তবে এই অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড শুধুমাত্র যে শারিরীক ক্ষতি করে তা নয়, বাড়িয়ে দিতে পারে বিষণ্নতাও।সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এলো এমন একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ব্রেইন-ইমেজিং গবেষক ডা. ড্যানিয়েল আমেন-এর মতে, অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশিমাত্রায় গ্রহণ বিষণ্নতার ঝুঁকিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।

অন্ত্র-মস্তিষ্কের সংযোগ

ডা. আমেন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং মেজাজের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।সম্প্রতি একটি টিকটক ভিডিওতে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, ‘অন্ত্রের স্বাস্থ্য মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার খাদ্যতালিকায় অতি-প্রক্রিয়াজাত খাদ্য থাকে, তাহলে আপনার বিষণ্নতার সঙ্গে লড়াই বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে।’

দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্টের মতে, বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে অন্ত্র-মস্তিষ্কের অক্ষ নিয়ে গবেষণা করেছেন। এটি এমন একটি জটিল যোগাযোগ ব্যবস্থা যেখানে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। মানসিক চাপ হজমকে ব্যাহত করতে পারে। অন্যদিকে, অস্বাস্থ্যকর খাবার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা পরিবর্তন করতে পারে, মেজাজ ও মানসিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

অদৃশ্য বিপদ

অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাসসহ ১০০ ট্রিলিয়ন জীবাণু রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডা. আমেন তাদের ‘পোষা প্রাণীর’ সঙ্গে তুলনা করেছেন যাদের সঠিক পুষ্টি প্রয়োজন।তিনি পরামর্শ দেন, আপনাকে আপনার অন্ত্রের ‘বাগ’কে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে হবে – ফাইবার, রঙিন ফল এবং সবজি এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিন।জাঙ্ক ফুড খেলে স্থূলতা, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, বিষণ্নতার- মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ)।

কীভাবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করবেন

সম্পূর্ণ অপ্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া

ফাইবার গ্রহণ বৃদ্ধি (পুরো শস্য, লেবু এবং শাকসবজি)

প্রোবায়োটিক এবং গাঁজনযুক্ত খাবার খাওয়া

চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ কমানো।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ /এমএম