প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: মদ বিড়ি সিগারেট খেতে সব সময় বারণ করা হয়। কারণ এগুলো সুস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি সিনেমা দেখতে গেলেও তামাক না খাওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সিগারেটের প্যাকেটেও থাকে সতর্কীকরণ বার্তা।ভারতীয় অভিনেতা নাগা চৈতন্য সম্প্রতি একটি শোতে অংশ নিয়ে শারীরিকভাবে ফিট থাকার রহস্য জানান। সেখানে তিনি বলেন, আমাদের শরীরের জন্য সব থেকে বড় ক্ষতিকর হলো চিনি। এটি বিষের মতো কাজ করে। চিনির চেয়ে মদ খাওয়া বা তামাক নেওয়া ভালো। সবকিছুই চিনির চেয়ে ভালো।
নাগা চৈতন্য এদিন বলেন, আমি চিনির সঙ্গে মদ ও মাদকের তুলনা করছি, আমি বিশ্বাস করি চিনি একাধিক সমস্যার কারণ। যেমন ক্যানসার, ডায়াবেটিস। আর সবাই জানে এই রোগগুলো কতটা প্রাণহানিকর। আমি তাই খুব সচেতন থাকি। খুব অল্প পরিমাণে চিনি খাই। যেদিন ডায়েটে ফাঁকি দেই সেদিন খুব অল্প চিনি খাই।
চিনি খেলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়
শরীরে ফ্যাট জমে
চিনি খেলে তলপেট, চিবুক, হাত ও পায়ের পেশিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ফ্যাট জমতে শুরু করে। ফলে শরীর খুব দ্রুত মোটা হয়ে যায়। অতিরিক্ত ফ্যাট জমে গেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদি দৈনিক চিনি থেকে ১৫০ ক্যালরি গ্রহণ করা হয়, তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় ১ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জন্য চিনি অত্যন্ত ক্ষতিকর।
লিভারের ক্ষতি
অতিরিক্ত চিনি খেলে লিভারের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বির স্তর তৈরি হয়। ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যেতে থাকে।
রক্ত চলাচলে বাধা
শরীরের রক্ত চলাচলের ধমনীর দেয়ালের পুরুত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে চিনি। ফলে রক্ত স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়।
স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়
চিনির কারণে আলঝেইমারসের মতো রোগ হতে পারে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় চিনি।
বিষণ্নতা
অতিরিক্ত চিনে খেলে বিষণ্নতা তৈরি হয়। শরীর সবসময় ক্লান্ত লাগে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়
বেশি মাত্রায় চিনি খেলে রক্তের প্রবাহ পরিবর্তিত হয়। ফলে হার্ট অ্যাটাক, হার্টফেল করার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আয়ু কমিয়ে আনে চিনি। এছাড়া চিনি বেশি খেলে ক্যানসারের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ /এমএম