বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১৭৭০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৭০ হাজারের বেশি।সোমবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।তবে এখন করোনাভাইরাস নিয়ে আরেক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাসের পরীক্ষার পর মানুষকে ভুলভাবে জানানো হচ্ছে যে, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এমন সন্দেহের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার আগে ছয়টি পরীক্ষা করাতে হয়। পরীক্ষার ফলে আসে যে, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।অন্যদিকে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল চীনের হুবেইপ্রদেশে চূড়ান্তভাবে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়ার আগেই শুধু উপসর্গ থাকলেই তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধরা হচ্ছে।
যার কারণে একদিনে ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।পরীক্ষার জন্য রোগী থেকে একটি নমুনা নেয়া হয়। পরে পরীক্ষাগারে ভাইরাসের (যদি থাকে) জেনেটিক কোড বের করে তা বার বার কপি করা হয় যাতে তা সনাক্ত করা যায়।কিংস কলেজ লন্ডনের ডা. নাথালি ম্যাকডারমট বলেন, আরটি-পিসিআর নামে এই পরীক্ষা এইচআইভি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এবং এটা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। এগুলো খুবই শ্রমসাধ্য এবং জোরালো পরীক্ষা। তাই এসব পরীক্ষা থেকে ভুল করে পজিটিভ বা নেতিবাচক ফল পাওয়ার হার খুবই নগণ্য।
তবে ভুল কী হচ্ছে?
রেডিওলোজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ১৬৭ জন রোগীর মধ্যে ৫ জনের পরীক্ষায় আসে যে তাদের সংক্রমণ নেই। তবে ফুসফুসের স্ক্যান পরীক্ষায় পাওয়া যায় যে তারা আক্রান্ত।এর মধ্যে রয়েছেন ডা. লি ওয়েনলিয়াং-ও। তিনি এই রোগ সম্পর্কে প্রথম উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। আর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।এই ভাইরাসে শিকার অন্য দেশগুলো যেমন সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডেও পাওয়া যায়। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ডা. ন্যান্সি মেসোনিয়ার বলেন, করোনাভাইরাসের অনেক পরীক্ষায় অমীমাংসিত ফল আসছে।
কী চলছে?
পরীক্ষাগুলো যথার্থ হলেও পরীক্ষার সময় হয়তো রোগীদের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকে না। চীনে এখন কাশি, ঠাণ্ডা এবং ফ্লু এর মৌসুম। আর রোগীরা হয়তো এসব অসুখকেও করোনাভাইরাস বলে ভুল করছে।ডা. ম্যাকডারমট বলেন, অন্য ভাইরাসগুলোর মতোই করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গগুলো শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রমিত করে।
তিনি বলেন, প্রথমবার পরীক্ষার সময় হয়তো তারা সংক্রমণের শিকার হয়নি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হযন এবং পরে পরীক্ষা করলে তা ধরা পড়ে।আরেকটি কারণ হিসেবে তিনি জানান, রোগীর হয়তো করোনাভাইরাস আছে, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এবং সংখ্যায় এত কম থাকে যে শনাক্ত করার জন্য নমুনায় পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাওয়া যায় না।তিনি বলেন, তবে যদি রোগীর কাশি থাকে, তা হলে ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ /এমএম





