প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: জাতীয় ফল কাঁঠাল। এই সুস্বাদু ফল শুধু খাওয়াই যায় না। এর বিচিও রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁঠালের বিচির রান্না বেশ মজাদার। আপনি চাইলে মৌসুম ছাড়াও কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। এবং অসময়ে তা খেতে পারেন। এখন চলছে কাঁঠালের মৌসুম। এ সময় সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন কাঁঠালের বিচি। আর কয়েক উপায়ে সংরক্ষণ করা যায় কাঁঠালের বিচি।
কাঁঠালের বিচি ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন রোদে কিংবা ফ্যানের বাতাসে। ভালো করে শুকালে ওপরের সাদা খোসা ছাড়িয়ে নিন। প্রয়োজন নেই ভেতরের লালচে খোসা ছাড়ানোর। আপনি যদি শুঁটকি মাছ দিয়ে কাঁঠালের বিচি খেতে চান, তাহলে বিচি মাঝখান থেকে দুই ভাগে ভাগ করে নিন।
চাইলে আস্ত রাখতে পারেন কিংবা ছেঁচেও রাখতে পারেন। এবার চুলায় একটি পাত্রে পরিমাণমতো পানি গরম করে খোসা ছাড়ানো কাঁঠালের বিচি দিয়ে দিন। ৫ মিনিট সেদ্ধ করুন। এরপর উপরের লাল খোসাটা ছাড়িয়ে নিন। এবার একটি জিপলক ব্যাগে অথবা মুখবন্ধ পাত্রে সংরক্ষণ করুন কাঁঠালের বিচি। বছরজুড়ে খেতে পারবেন একদম টাটকা।
আবার আপনি চাইলে গুঁড়া করে সংরক্ষণ করতে পারেন কাঁঠালের বিচি। সে জন্য রোদে শুকানো কাঁঠালের বিচি সিদ্ধ করে ঠান্ডা করুন। এরপর খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। শুকনো বীজ একটি তাওয়ায় অল্প থেকে মাঝারি আঁচে ভেজে নিন। ভাজার সময় কোনো তেল দেবেন না। ভাজা বীজ ঠান্ডা করে গ্রাইন্ডারে মিহি গুঁড়া করুন। একটি পরিষ্কার শুকনো পাত্রে কাঁঠালের বিচির গুঁড়া নিয়ে পাত্রটি একটি শীতল ও শুকনো জায়গায় রাখুন। কাঁঠালের বিচির গুঁড়া ঘরের তাপমাত্রায় ৬ মাস পর্যন্ত রাখা যায়।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১২ জুলাই ২০২৫ /এমএম