প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: একটা নির্দিষ্ট বয়সের মার্জিনে পড়লে খাদ্যতালিকা নিয়মের মধ্যে রাখতে হয়। কোন কোন খাবার খেলে শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হবে না এবং মেরুদণ্ড ঠিক থাকবে, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত পুষ্টিবিদ নেহা পরিহার।কম খেয়ে বা উপোস থেকে রোগা হওয়া যায় না। এতে শরীরের ক্ষতি ছাড়া ভালো কিছু হয় না। বরং সুষম ডায়েট করেই ওজন ঝরানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। সেই সঙ্গে সমপরিমাণে রাখতে হবে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে পুষ্টিবিদ নেহা জানিয়েছেন, মাস দুয়েকের মধ্যে যদি কেবল ডায়েট করে ১০ কেজির মতো ওজন কমাতে চান, তা হলে ঠিক কী কী খেতে হবে। সাত দিনের ডায়েট প্ল্যান জেনে নিন।নিরামিষ খেয়েও ওজন ঝরানো যায়, এমনটিই জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ। সাত দিনের কোন দিন কী খাবেন তা জেনে নিন।
প্রথম দিন
প্রাতরাশে সিদ্ধ ছোলা দিয়ে স্যালাদ। মিড মর্নিংয়ে খেতে হবে কলা। নেহা জানাচ্ছেন, দুপুরে এক কাপ ভাত, সঙ্গে ডাল, সবজি ও স্যালাদ রাখলে ভালো। সন্ধ্যাবেলায় খিদে পেলে বাটারমিল্ক খেতে পারেন। রাতে কল ওঠা ছোলার স্যালাদ আর ঘুমানোর আগে এক গ্লাস উষ্ণ পানি।
দ্বিতীয় দিন
ঘুম থেকে উঠে খান জিরে ভেজানো পানি, সঙ্গে সূর্যমুখী ও কুমড়ার বীজ। প্রাতরাশে সবজি দিয়ে কিনোয়ার উপমা খেতে পারেন। এর পর খিদে পেলে পাকা পেঁপে খাওয়া যেতে পারে। দুপুরে আর ভাত নয়, খান কিনোয়া, ডাল, সিদ্ধ সবজি। রাতে খেতে পারেন বেসনের চিলা ও পুদিনা দিয়ে তৈরি চাটনি।
তৃতীয় দিন
সকালে উঠে খালি পেটে জোয়ানের পানির সঙ্গে পাঁচটি ভেজানো কাঠবাদাম। প্রাতরাশে সবজি দিয়ে চাপাটি আর যে কোনো এক রকম মৌসুমি ফল খেলে ভালো। দুপুরে সবজি দিয়ে খিচুড়ি বা ব্রাউন রাইস, মুগ ডাল, শসার রায়তা খেতে পারেন। রাতে বাজরার রুটি, সঙ্গে কম তেলে রান্না সবজি।
চতুর্থ দিন
সকালে খেতে হবে ডিটক্স পানীয়, জোয়ানের পানি বা জিরে ভেজানো পানি খেতে পারেন। প্রাতরাশে সিদ্ধ রাজমা, মাখানার স্যালাদ। মিড মর্নিংয়ে খিদে পেলে খেতে পারেন একটা পেয়ারা। দুপুরে দই-ভাত, রায়তা। রাতে খেতে হবে সিদ্ধ সবজি।
পঞ্চম দিন
সকালে খালি পেটে গরম দুধে এক চিমটে হলুদ দিয়ে খান। সঙ্গে ভেজানো কাঠবাদাম। প্রাতরাশে রাগির ইডলির সঙ্গে নারিকেলের চাটনি খেতে পারেন। দুপুরে এক কাপ ভাতের সঙ্গে রাজমা, সবজির স্যুপ খেতে পারেন। রাতের খাওয়া হবে হালকা। রাগি দিয়ে তৈরি দোসা, সঙ্গে টমেটোর চাটনি।
ষষ্ঠ দিন
সকালে মেথি ভেজানো পানি দিয়ে দিন শুরু হোক। প্রাতরাশে থাক ওট্স। দুপুরে ভাত, ডাল, পালংশাকের তরকারি ও টকদই। বিকালে খিদে পেলে খেতে পারেন রাজমার স্যালাদ। রাতে রাগি দিয়ে তৈরি পোলাও, সঙ্গে সিদ্ধ সবজি।
সপ্তম দিন
সকালে মৌরি ভেজানো পানির সঙ্গে একমুঠো কুমড়ার বীজ। প্রাতরাশে খেতে পারেন রাগির পরোটা, সঙ্গে চাটনি। দুপুরে কিনোয়ার সঙ্গে রাজমা কারি ও সিদ্ধ সবজি। রাতে রুটি আর কম তেলে রান্না যে কোনো তরকারি।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ /এমএম