Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::  রোদের প্রখরতা কমছে দিনকে দিন। সুয্যি মামাও বিদায় নিচ্ছে আগেভাগে। সন্ধ্যা হতে না হতেই চারপাশে হিম হিম বাতাসের ছোঁয়া। এ যেন শীত আসার ঠিক আগাম লক্ষণ।পৌষ, মাঘ এ দুই মাস শীতকাল হলেও কার্তিকের শুরু থেকেই অল্প-স্বল্প শীতের আভাস মিলে প্রকৃতিতে। মোড়ের কোনার দোকানেও ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা চোখে পড়া শুরু করেছে। হাফহাতা টি-শার্ট কিংবা শর্ট হাতার কামিজের জায়গায় রাখা হচ্ছে আলাদা করে জায়গা।

খুব বেশি মোটা কাপড় পরা না গেলেও লম্বা হাতার পোশাকেই স্বস্তি মিলছে অনেকটাই। তবে শীতের শুরুটা এভাবে হলেও হুট করেই প্রকৃতিতে জেঁকে বসবে শীত। তখন সুয্যি মামার জন্য করতে হবে লম্বা অপেক্ষা। প্রতিদিনের পোশাক শুকাতেই লাগবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়। তাই আলমারিতে উঠিয়ে রাখা শীতের মোটা কাপড়, পোশাক কিংবা লেপ অথবা কম্বলের কভার শুকাতে মিলবে না পর্যাপ্ত আলোর দেখা। কড়া রোদে আলমারিতে উঠিয়ে রাখা শীতের পোশাক একটু উলটে-পালটে শুকিয়ে কিংবা রোদে দেওয়ার এখনই সব চেয়ে উপযুক্ত সময়।

একটু ভারি শীতের পোশাক যেমন সোয়েটার, চাদর এখনই ধুয়ে কড়া রোদে দুই-একদিন শুকিয়ে নিতে পারেন। যে পোশাকগুলো ধুয়ে শুকিয়ে তুলে রেখেছেন এ বছরের শীতের জন্য, সেই কাপড়গুলোও কড়া রোদে একটু গরম করে নিতে পারেন। এতে দীর্ঘ সময় ধরে আলমারিতে থাকায় পোশাকে অনেক সময় বাজে গন্ধের সৃষ্টি হয়। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রেও শীতের পোশাকগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।

ডেটল অথবা স্যাভলন মিশানো পানিতে পরিষ্কার করে নিলে আরও ভালো। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, যাতে করে ভেজা কাপড় আলমারিতে উঠিয়ে না রাখা হয়। ঘরে ফ্যানের বাতাসে এ সময় পোশাক না শুকিয়ে চেষ্টা করুন খোলা জায়গায় শুকিয়ে নেওয়ার। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অনেকেই এখন ঘরেই শুকিয়ে নেন ভেজা কাপড়।

এতে ঘরেও বাজে গন্ধের সৃষ্টি হয়। প্রকৃতিতে শীতের পরিবর্তন শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠান্ডা, সর্দি, কাশির মাত্রা বাড়ছে। তাই পোশাকে একটু হলেও পরিবর্তন আনুন। হাফহাতার জায়গায় ফুলহাতার পোশাক। পিঠের সবটুকু অংশ যাতে ঢেকে থাকে এ দিকেও খেয়াল রাখুন। এতে বুকে ঠান্ডা জমবে না। খুব বেশি আঁটোসাঁটো যাতে না হয়, ঢিলেঢালা কিন্তু একটু মোটা কাপড়েই দেখবেন কেমন উষ্ণতা মিলবে হালকা ঠান্ডা বাতাসের এ সময়।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৬ নভেম্বর ২০২৪ /এমএম