Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: নতুন কারিকুলামে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে শুক্রবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এমন ইঙ্গিত দেন শিক্ষামন্ত্রী। আগামী বছর থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল হবে কি না- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিকুলামের দিনগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হচ্ছে। এখন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের যতদিন প্রয়োজন, সেটা অর্জন করার জন্য যদি শুক্রবারও খোলা রাখতে হয়, আমাকে খোলা রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ, যদি দিবসগুলো সম্পন্ন হয়ে যায়, তখন আমাদের খোলা রাখার প্রয়োজন হবে না। ছুটি, কারিকুলাম, টেক্সটবুক পরিচালনাগত নানা বিষয়; যেটা শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেটা বিশেষায়িত কার্যক্রম। এ বিশেষায়িত কার্যক্রমে অনেক অংশীজন সম্পৃক্ত থাকেন। অনেক স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়। ছুটির বিষয়টিও ঠিক তেমনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থাকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়।

সিলেটের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে এবং সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে বন্যা দেখা দিলে তো হাওরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আর স্কুলে যেতে পারবে না। তাদের তো শুষ্ক মৌসুমে স্কুলে যেতে হবে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা ওই বিভাগগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করিনি।’ ‘কোনো জায়গায় তাপমাত্রা বাড়বে, কোনো জায়গায় তাপমাত্রা কমবে। আমাদের নির্বাহী বিভাগের দৃষ্টিতে সেটি একটি পরিচালনাগত বিষয়। আমরা যদি এভাবে স্বপ্রণোদিত নির্দেশনা পেয়ে থাকি, তবে সেটা পরিচালনাগত বিষয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এটাই হচ্ছে আমাদের অবস্থান’— যোগ করেন মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন মোট কার্যদিবস আছে ১৮৫ দিন। সেখানে আমাদের মূল্যায়নের জন্য ২০ দিন রাখা হয়েছে। জাতীয় দিবসগুলোর জন্য পাঁচ দিন, অতিরিক্ত যে দিনগুলো আছে সেখানে আমরা রি-অ্যাডজাস্টমেন্ট করবো। শিক্ষা ক্যালেন্ডারটা স্থির থাকা কঠিন।’

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ৩০ এপ্রিল ২০২৪ /এমএম