Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: রমজানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল কম। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুধবার উভয় শিফটে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে এ উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশের নিচে কোনো স্কুলে ছিল না।

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল ৭০ শতাংশ। আর ভিকারুননিসা নূন স্কুলে উপস্থিতির হার ছিল ৬০ শতাংশ। মিরপুরের মনিপুর স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল ৬৫ শতাংশের মতো। উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুলে উপস্থিতি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে উপস্থিতি ছিল ৮০ শতাংশের কাছাকাছি।

উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল আলম খান  বলেন, অনেক শিক্ষার্থী রোজা রাখে তাই প্রথম প্রথম তাদের স্কুলে আসতে একটু কষ্ট হয়। এ কারণে হয়তো উপস্থিতি কম। তবে কয়েক দিন পর উপস্থিতির হার কেমন হবে তা বোঝা যাবে।

রাজধানীর প্রাইমারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়মের অভিভাবক মতিন আব্দুল্লাহ বলেন, রোজার সময় শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনা-নেওয়া বেশ কষ্টকর। ভোর রাতে সেহরি খেয়ে সকালে আবার বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল হক দুলু  বলেন, রোজায় স্কুল বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে। তখন শিক্ষকরা কোচিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার সামনে আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।

নানা নাটকীয়তার পর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিত্র রমজানে স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৫ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। এ ছাড়া রমজানে দুই শিফটের মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো কীভাবে ক্লাস চালাবে, তা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এ নিয়ে মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের শিক্ষাপঞ্জি সংশোধনের কারণে ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

এ প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডাবল শিফট চালু রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রভাতি ও দিবা শিফটে পাঠদান কার্যক্রম পরিচলনার ক্ষেত্রে নিজেদের সুবিধাজনক উপায়ে সময়সূচি নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রমও চলবে নতুন সময়সূচিতে। নতুন সূচি অনুযায়ী, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলবে। একইভাবে মাদ্রাসাও ১০ রমজান অর্থাৎ ২১ মার্চ পর্যন্ত এ নিয়মে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে।

পবিত্র রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একেএম ফয়েজ।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৩ মার্চ ২০২৪ /এমএম