Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌  রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সব ধরনের সবজি হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে তাই দামও অনেকটা কম। তবে পুরানো আলুর মূল্য বেশি দেখা যাচ্ছে। নতুন আলু বাজারে এলেও পুরোনো আলুর দাম এখনো কমেনি। মানভেদে নতুন আলুর দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সে তুলনায় পুরোনো আলু এখনো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন আলু আসার পরও এখনো আলুর বাজার চড়া, যে ধরনের পরিস্থিতি গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি।

এদিকে তিনদিন ধরে পেঁয়াজের দাম কমের দিকে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৫০-১৬০ টাকা। যা দুদিন আগে বুধবার ১৮০-২০০ টাকা বিক্রি হয়। এর আগে রবিবার বিক্রি হয় ২২০-২৪০ টাকা। আর আজ শুক্রবার প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৩০ টাকা। সে ক্ষেত্রে দাম কিছুটা কমলেও সেই তুলনায় এখনো দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। যা একদিন আগে ১৩০ টাকা ছিল। দুই দিন আগে ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হয়। আর তিন দিন আগে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে আজ শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা।

এছাড়া রাজধানীর খুচরা বাজারে পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। সঙ্গে মুড়িকাটা নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা কেজি। যা দুই দিন আগে ১৩০-১৪০ টাকা ছিল।শুক্রবার খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আমদানি করা আদা ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ টাকা। পাশাপাশি প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হয় ২৭০ টাকা; যা এক সপ্তাহ আগে ২৪০ টাকা বিক্রি হয়। এছাড়া আমদানি করা রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, যা আগে ২০০ টাকা ছিল।

চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো নিত্যপণ্যের বাজারে তেমন পরিবর্তন নেই। মুরগির ডিমের দাম অবশ্য ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে।ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ডজন। মুরগি ও গরুর মাংসের দামে পরিবর্তন দেখা যায়নি। চাষের রুই এবং পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দামও আগের মতো রয়েছে।

রামপুরা বাজারের ক্রেতা আসাদ উল্যাহ বলেন, ‘বাজারে আসলেই মাথা খারাপ হয়ে যায়। এক আইটেমের দাম কমলে আরেক আইটেমের দাম বেড়ে যায়। দেখেন নতুন আলু বাজারে আসার পরেও আলুর দাম এখনো কমছে না। পেঁয়াজের দাম এখন কমের দিকে আবার বাজারে এসে দেখি ডিমের দাম বেড়ে গেছে।’মগবাজারের এক ক্রেতা রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম এতো তাড়াতাড়ি কমে যাবে তা সত্যিই আমি ভাবতে পারিনি। যাক বাজার করতে এসে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।’তবে বিক্রেতারা বলছেন অন্য কথা। তাদের দাবি, একটি চক্র দাম বাড়ায়- কমায়।

রামপুরা বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা কি করবো! আমরা যে দামে কিনি সে দামে কি আর বিক্রি করলে সংসার চলবে ভাই। ব্যবসা কোন রকম টিকিয়ে রাখতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের। প্রশাসন যদি চক্রকে ধংস করতে না পারে তাহলে বাজারের দাম সবসময়েই হাতের নাগালে থাকবে।’

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ /এমএম


Array