Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ চল্লিশে চালশে, এমন ভাবনা এখন পুরনো। সেই নারী হোক বা পুরুষ। পড়াশোনা শেষ করে, চাকরি তারপর বিয়ে করে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পেতে না পেতেই দরজায় এসে কড়া নাড়ে চল্লিশ। যান্ত্রিক জীবনে চল্লিশ পেরিয়ে গেলে শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। চল্লিশ মানেই জীবনের অর্ধেকটা শেষ হয়ে যাওয়া নয়।

তাই নিজেকে সুস্থ-সতেজ রাখতে হলে উপযুক্ত খাবারদাবার, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি খাওয়া, পরিমাণ মতো ঘুম আর সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। তাহলে শুধু সুস্থ না, থাকবেন অসংখ্য নারীর চোখে কাঙ্ক্ষিত। তাই চল্লিশের পর কিছু পুরুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা দরকার।পড়াশোনা শেষ করে, চাকরি তারপর বিয়ে করে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পেতে না পেতেই দরজায় এসে কড়া নাড়ে চল্লিশ

মানসিক চাপ: চল্লিশে অনেকে পুরুষই এখন কর্মজীবনের মধ্যগগনে থাকেন। শুধু কাজেরই নয়, থাকে পারিবারিক নানা চাপও। সব মিলিয়ে চাপ বেড়ে যায় মনের ওপর। শুধু বাহ্যিক কারণেই নয়, নিজের মনেও মধ্যবয়সে অনেক রকম টানাপোড়েন চলে। এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর চল্লিশ পার করলে অনেকটাই বেড়ে যায় এই রোগের ঝুঁকি। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। কদিন খালি পেটে রক্তপরীক্ষা করে জেনে নিন আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা। অনেক সময় আগে থেকে পরীক্ষা করলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা ধরা পড়ে যায়।চল্লিশ মানেই জীবনের অর্ধেকটা শেষ হয়ে যাওয়া নয়

প্রোস্টেট ক্যানসার: পুরুষদের মধ্যে যে ক্যানসারগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তার মধ্যে প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যানসার অন্যতম। চল্লিশের পর এই গ্রন্থির পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। সময় মতো ধরা পড়লে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যন্ত ভালো চিকিৎসা সম্ভব এই ক্যানসারের।

অস্টিওপোরোসিস: চল্লিশের পর হাড়ের ক্ষয় শুরু হতে পারে। তাই সাধারণ হাঁটুর ব্যথা উপেক্ষা না করাই ভালো। অল্প থাকতেই যদি এই সমস্যা ধরা পড়ে তবে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা খুব একটা নেই।

লিপিড প্রোফাইল: রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল মাত্রা হৃদরোগের সমস্যা ও স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই চল্লিশের পর রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা কেমন, তা পরীক্ষা করে জানা দরকার। আগাম সর্তকতা বাঁচিয়ে দিতে পারে প্রাণ।যান্ত্রিক জীবনে চল্লিশ পেরিয়ে গেলে শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়

হরমোন: টেস্টোস্টেরন নামক একটি হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে হাইপোগোনাডিজম নামক একটি রোগ হতে পারে। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ ৪০ বছর বয়সের পর এই হরমোনের সমস্যায় ভোগেন। তাই চল্লিশ পার হলেই এই হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। পাশাপাশি পরীক্ষা করা দরকার ভিটামিন বি১২ ও সিরাম ফেরিটিনের মাত্রাও।

হার্ট ও কিডনির স্বাস্থ্য: এই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার বাইরে ও নিয়মিত হৃদযন্ত্র ও কিডনির পরীক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে, মাথা ঘোরানো কিংবা ক্লান্তির মতো সমস্যা থাকলে তা কোনো মতেই উপেক্ষা করা ঠিক না।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ২৬ জুন  ২০২২ /এমএম