Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ শুধু শারীরিক বৃদ্ধি নয়, আপনার সন্তানের মানসিক বৃদ্ধিও যেন সঠিক ভাবে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ছোটবেলায় পরিবার থেকে সন্তান যে ধরনের শিক্ষা পাবে, বড় হয়ে সেগুলোই চর্চা করবে। তাই মা-বাবাকে সন্তানের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবন পাঠের দিক্ষা দিতে হবে। ভালো মানুষ হিসাবে সন্তানকে বড় করতে চাইলে শৈশবেই কিছু কিছু গুণ রপ্ত করাতে হবে সন্তানকে।

সহযোগিতা: সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মতো গুণ ছোটবেলা থেকেই তৈরি হওয়া বাঞ্ছনীয়। এগুলো এমন অপরিহার্য মানবিক বৈশিষ্ট্য যা সমাজকে সম্প্রীতির দিকে চালিত করে। সহযোগিতা ও সহমর্মিতা ছাড়া কোনো মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে বাঁচতে পারে না।সন্তানকে শেখান, সমাজের একজন সদস্য হিসাবে যে যে জিনিসগুলো সবার প্রাপ্য, তা বন্ধুদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া উচিত

ভাগ করে নিতে শেখা: মানুষ সামাজিক জীব। সন্তানকে শেখান, সমাজের একজন সদস্য হিসাবে যে যে জিনিসগুলো সবার প্রাপ্য, তা বন্ধুদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া উচিত। এতে শিশুমনে বিদ্বেষ ও লোভ জন্ম নিতে পারবে না।

শুনতে শেখা: শিশুকে শেখান যে কথা বলা এবং মতামত প্রকাশ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই অন্যরা যা বলছে তা শোনাও গুরুত্বপূর্ণ। ছোট থেকে অন্যের মতামত ও ভাবনার স্বাধীনতাকে সম্মান করতে শেখা, ভালো মানুষ হয়ে ওঠার জন্য খুবই জরুরি।ছোট থেকেই সন্তানকে শেখাতে হবে, সুখ ও দুঃখ হাত ধরাধরি করেই চলে

সামাজিকতা: শিশুদের শেখানো দরকার কীভাবে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে হয়। অন্যের কথার মাঝে বাধা না দেওয়া এবং অন্যের মতামতকে সম্মান করতে শেখাতে হবে ছোট থেকেই।

চাপ সামলাতে শেখা: ছোট থেকেই সন্তানকে শেখাতে হবে, সুখ ও দুঃখ হাত ধরাধরি করেই চলে। কোনো জিনিস মনকে ভারাক্রান্ত করলেও, নিজেকে শান্ত রাখা এবং চাপে কাবু না হয়ে পড়লে তবেই সেই চাপ অতিক্রম করা যায়।যে যখন যাই বলুক না কেন, কারও সম্পর্কে কখনও কোনো অবমাননাকর মন্তব্য করা উচিত নয় একে অপরকে

অনুপ্রাণিত করা: অনুপ্রেরণা শুধু নিজের নয়, অন্যদের জন্যেও জরুরি, এই কথা শিশুদের ছোট থেকেই শেখানোটাও জরুরি। ছোট থেকেই এই শিক্ষা পেলে কঠিন সময়ে ভেঙে পড়বে না সন্তান।

অন্যদের নিয়ে মজা না করা: সবাই নিজের মতো করে সুন্দর। অনেক সময় ছোটরা না বুঝেই সহপাঠীর কোনো দুর্বলতার জায়গায় আঘাত করে ফেলে। তাই সন্তানকে শেখাতে হবে, যে যখন যাই বলুক না কেন, কারও সম্পর্কে কখনও কোনো অবমাননাকর মন্তব্য করা উচিত নয়।

সন্তানকে নিজেদের কথা বলুন: নিজেদের কথা, ভুলগুলো সন্তানদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবেন। সবার ভুলভ্রান্তি হতে পারে। এতে সে বুঝবে কেউ এই পৃথিবীতে নিখুঁত নয়। অন্তত একবার তাদের নিয়ে যাবেন আপনার কর্মস্থলে। এতে সে বুঝবে তাদের প্রতিপালনের জন্য আপনি কী করছেন। এবং নিজের মা–বাবাকে ভালোবাসবেন, যাতে সন্তান যেন বোঝে, মা–বাবাকে ভালোবাসতে হয়।