Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ মানবদেহের চিরায়ত শারীরতাত্ত্বিক কাঠামোর জন্য ক্লান্তি ভর করবেই। জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলেই অফিসে ক্লান্তির জন্য ঘুম আর হতাশাকে দূর করা যায়। সাধারণত কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ কখনো বেশি আবার কখনো কম থাকে। টানা কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে কী করেন? অনেকেই বলবেন এক কাপ কফি কিংবা অন্য কোনও গরম পানীয় নিয়ে কিছুটা সময় কাটান। কেউ বা একটু হাঁটাহাঁটি করেন। কিন্তু এসবের কোনও কিছুরই প্রয়োজন নেই। বরং কয়েক মিনিট ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এর মতো কাজের অভ্যাস কমই হয়। এক বারে অনেকটা কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এর চেয়ে বেশি কার্যকর উপায় কমই আছে।

অনেকেই বলে থাকেন, একবার ঘুমিয়ে পড়লে কাজের ক্ষতি হয়ে যাবে। কাজের মাঝে আধ ঘণ্টা ঘুমালেই সেই ঘুম গাঢ় হয়ে যায়। এর ফলে ঘুমের মাঝে উঠতে অসুবিধা হয়। আর যদি বা উঠে পড়লেন, তা হলেও নতুন করে কাজে মন বসানো কঠিন হয়। কারও কারও আবার বক্তব্য কাজের মাঝে এমন ঘুমের অভ্যাস রাতের ঘুম নষ্টও করতে পারে। তার প্রভাবও পড়বে শরীরের উপর। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা অন্য কথাই বলছেন। ক্ষণিকের ঘুমই বাড়াতে পারে কাজের ক্ষমতা।

কাজের মাঝে ১০ থেকে কুড়ি মিনিট ঘুমালে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং টানা কাজ করার একঘেয়েমি কেটে যায়। কাজে মনোযোগ বাড়ে। ক্লান্তি একেবারে কেটে যায়। মন ভাল হয়। সব মিলে তাড়াতাড়ি কাজ হয়। ‘সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল নিউরোসায়েন্সেস’ পত্রিকায় ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কাজের ফাঁকে দুপুরের দিকে মিনিট কুড়ি ঘুমিয়ে নেওয়া গেলে শরীর ঝরঝরে হয়। তাতে সবচেয়ে ভাল হয় কাজ। কাজের মধ্যে ক্লান্তি চলে আসে এবং সে সময়ের একটুখানি ঘুম আপনাকে দ্বিগুণ পরিমাণ কর্মক্ষম করে দিতে পারে নিমিষেই।

উল্লেখ্য, কর্মক্ষেত্রে ‘ঘুমবান্ধব’ পরিবেশ গড়ে তুলেছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান। গুগল, নাইকিসহ বেশ কিছু নামী কোম্পানির অফিসে আছে ঘুমঘর। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসাও কর্মীদের ঘুমের ওপর বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। তাদের গবেষণা অনুযায়ী, কাজের ফাঁকে ২৬ মিনিটের একটা ঘুম কর্মক্ষমতা শতকরা ৩৪ ভাগ বাড়ায়। এর মাধ্যমে কাজে সতর্কতা বৃদ্ধি পায় শতকরা ৫৪ ভাগ। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চাইলে কাজের ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণ ঘুমানো জরুরি।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ২৪ নভেম্বর  ২০২১ /এমএম