Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: এ বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের স্কুলে এনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাধ্য হয়েই লটারির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।‘যোগ্যতার চেয়ে এবার ভাগ্যকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়েই এ পদ্ধতি বেছে নিয়েছি।’

একই সঙ্গে ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ‘ক্যাচমেন্ট (এলাকাভিত্তিক) কোটা’ ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। আর ক্লাস্টারভিত্তিক লটারিতে ঢাকার শিক্ষার্থীরা একটির জায়গায় এবার ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর লটারিসহ একাধিক প্রস্তাব দিয়েছিল। অপর একটি প্রস্তাব ছিল অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা, আরেকটি ছিল বেশি দিনে পরীক্ষা নেয়া। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের এসব প্রস্তাবের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ভর্তির প্রস্তাবটিই গ্রহণ করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনটি বিকল্প খতিয়ে দেখেছি। একটি হচ্ছে স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া। কিন্তু শিক্ষার্থীদের স্কুলে এনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না। এমসিকিউ পদ্ধতির কথা চিন্তা করেছি, কিন্তু তাতেও শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে হতো।

অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সবার জন্য নিরাপদ হলেও সব শিক্ষার্থীর অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হবে, তাই এটি যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। সবার ইন্টারনেট অ্যাকসেস নেই, আবার সংযোগেও সমস্যা আছে। সব বিবেচনায় নিয়ে লটারিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে। করোনার সংক্রমণের কারণে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। সবশেষ এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/২৫ নভেম্বের ২০২০/এমএম


এই বিভাগের আরও সংবাদ